1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
পটুয়াখালীর দক্ষিন অঞ্জলে গ্রাম বাংলার ঢেঁকি শিল্প বিলুপ্তির পথে বসেছে। - এশিয়া বার্তা
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০
প্রধান খবর:
দোহারে শিক্ষার মান উন্নয়নে মত বিনিময় সভা দোহারে বিএনপি নেতা হারুন মাষ্টার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা,গ্রেফতার-১ শরীফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত ‘ইনসাফ’ সিনেমায় দোহারের বিল্লাল মাহমুদ মানিকগঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল দোহারে নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা নবাবগঞ্জে মাদকের অপব্যবহার ও প্রসার রোধে ব্যতিক্রমী সভা মাহমুদ আরশীন জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক এসোসিয়েশনের সদস্য নির্বাচিত ট্রাকচাপায় শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু: মানিকগঞ্জে শোকের ছায়া বিএনপি নেতার উদ্যোগ, ৪ যুগ পর রাস্তা পেল দোহার পৌরবাসী নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত,আহত-২

পটুয়াখালীর দক্ষিন অঞ্জলে গ্রাম বাংলার ঢেঁকি শিল্প বিলুপ্তির পথে বসেছে।

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৯১ বার পড়া হয়েছে

ইমরান হোসেন বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামীণ ঐতিহ্য ঢেঁকি শিল্প আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। সময়ের আবর্তনে এরস্থলে এসেছে আধুনিক কলকারখানা ও সরঞ্জাম। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ঢেঁকি শিল্প শুধুই গল্পকাহিনী মাএ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, একসময় পটুয়াখালীর বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের সকল মানুষের কাছে ঢেঁকির কদর ছিল অনেক বেশি। ধান ভানা, আটা, হলুদের গুড়া ও চিড়া তৈরিসহ নানাবিধ কার্যক্রম চলতো ঢেঁকির সাহায্যে।

বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে বিভিন্ন ধরনের পিঠা যেমন- ভাবা পিঠা, পাকান পিঠা, পাটিশাপ্টা, কুলি পিঠাসহ নানা ধরনের তেলের পিঠার প্রচলন ছিল। যা খাওয়ার উপযোগী করে তোলার জন্য একমাত্র মাধ্যম ছিল ঢেঁকি।

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা, কলাপাড়ার প্রধানত কৃষি প্রধান এলাকা। এক সময় গ্রাম গুলোতে কৃষক যখন তাদের ক্ষেতের নতুন ধান ঘরে তুলতো ঠিক তখনই ঘরের বধূরা ধান ঝেড়ে রোদে শুকিয়ে ঢেঁকির মাধ্যমে ধান ভানা ও আটা তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করত। আবার কখনও নতুন ধানের চিড়া তৈরির জন্য ব্যস্ত থাকত।

বিগত এক যুগ আগেও এমন চিত্র পটুয়াখালীর উপজেলা পর্যায় বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় মানুষের মাঝে লক্ষ্য করা যেত। তাদের চাহিদা মেটাতে প্রায় সকলের বাড়িতে ঢেঁকি থাকত কথাটি বললেও ভুল হবে না।

পটুয়াখালী জেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের

খাইরুন বেগম বলেন, আমি কয়েক বছর যাবৎ ঢেঁকির সাহায্যে জীবিকা নির্বাহ করছি। আমার বাড়ির আশে পাশে শত শত বাড়ি থাকলেও তাদের কোন ঢেঁকি ছিলোনা। তাই আমি প্রতিদিন অনেক মানুষের প্রতি কেজি ৪টাকা দরে চালের আটা তৈরি করে দিয়েছি। একই গ্রামের আব্বাস মোল্লা (৫০) বলেন, আধুনিক কলকারখানা তৈরীর সাথে সাথে ঢেঁকি প্রচলন প্রায়ই দেখা যায় না। আগে ঢেঁকি ছাড়া ধান থেকে চাল, আটা, চিড়া এবং হলুদের গুড়া তৈরী করা সম্ভব হতো না। ঘরের বধুরা খুব ভোর থেকে ধান ভানার কাজ করত। আগে প্রত্যেকের বাড়ীতে ঢেঁকি থাকতো। মহিলারা রান্না ও অন্যান্য কাজ করার পর ঢেঁকির কাজে ব্যস্ত থাকত। ঢেঁকি ছাটা চাল, আটা ও চিড়া অনেক সু-স্বাদু।

গ্রামাঞ্চলের মহিলারা ধান ভানা, আটা, হলুদ ও চিড়া তৈরি করার সময় এক সুরে মনের আনন্দে ও বউ ধান ভানোরে ঢেঁকিতে পাড় দিয়া, ঢেঁকি নাচে আমি নাচি হেলিয়া দুলিয়া ও বউ ধান ভানোরে……গান গাইতো। এখন আর সেই ঢেঁকি আর দেখা যায় না বললেও ভুল হবে না।

সময়ের চাহিদা মেটাতে এর স্থলে ধান থেকে চাল, আটা ও চিড়া তৈরি এবং হলুদের গুড়া তৈরি সহ ঢেঁকির সাহায্যে করা নানাবিধ কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য আধুনিক কলকারখানাসহ পৃথক পৃথক সরঞ্জাম এসেছে এমনটি ধারণা আজকের সকল মহলের। সেই সাথে সাথে আধুনিক প্রজন্মের কাছে ঢেঁকি একটি গল্পকাহিনীতে পরিনত হতে চলেছে,এমনটাই জানালেন গ্রাম বাংলার মানুষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓