1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
প্রধানমন্ত্রী কে খুনের হুমকিদাতা ভয়ংকর সন্ত্রাসী লিটন গাজীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন - এশিয়া বার্তা
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

প্রধানমন্ত্রী কে খুনের হুমকিদাতা ভয়ংকর সন্ত্রাসী লিটন গাজীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

  • প্রকাশিত: রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৪২ বার পড়া হয়েছে

আবু ইউসুফ নিজস্ব নিউজ রুম

প্রধানমন্ত্রী সহ আওয়ামী লীগের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও খুনের হুমকিদাতা গডফাদার আকরাম হোসেন বাদলের সহযোগী ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহাপ্রতারক লিটন গাজীর ফাঁসি ও তার সহযোগীদের কঠিন শাস্তির দাবিতে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর যশোর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

অনুসন্ধানে জানা যায়, চাঁদপুর মতলব থানার পিতৃ পরিচয়হীন লিটন গাজী নামের এক ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহা প্রতারক গত ২০১৬ সালে ফেইসবুক লাইভে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ আওয়ামী লীগের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও খুনের হুমকি দিয়েও গডফাদার আকরাম হোসেন বাদলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় এখনও সারা দেশে সব ধরনের অপকর্ম করেই যাচ্ছে

সারা দেশে খুন ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি সহ অসংখ্য মামলা ও জিডির আসামী গডফাদার আকরাম হোসেন বাদল, লিটন গাজী, নজরুল ইসলাম, খলিলুর রহমান ও আবুল কালাম মাঝি চক্রের বিচারের দাবিতে চলতি বছরের ১৩ই মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী পরিবার।

গডফাদার আকরাম হোসেন বাদলের নেতৃত্বে সারা দেশে খুন ধর্ষণ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি সহ সব ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছেন এই অপরাধ চক্রটি। সারা দেশে এদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা ও জিডি রয়েছে।

গডফাদার আকরাম হোসেন বাদলের হালচাল:
কিশোরগঞ্জ কাটিয়াদি ভুনা গ্রামের তুতামিয়ার ছেলে আকরাম হোসেন বাদল। সে সারা দেশে গাড়ি চুরি সিন্ডিকেটের লিডার। ঢাকা মিরপুর মডেল থানায় গাড়ি চুরি মামলায় সে চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামী। এই মামলায় সে একাধিকবার জেল হাজতে ছিল। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা ও জিডি রয়েছে। গত ২০১৬ সালে থেকে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন পরিচয় দিয়ে জয় বাংলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগ নামের একটি ভুয়া সংগঠন খুলে সারা দেশে কমিটি দেওয়ার নাম করে সদস্যদের থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও সে নিজেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য পরিচয় দিচ্ছেন অথচো আওয়ামী লীগের কোন কমিটিতে তার নাম পাওয়া যায়নি । এছাড়াও সে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পুলিশ প্রধান নুর মোহাম্মদ এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

আকরাম হোসেন বাদলের একাধিক বউ এবং ৫ জন উপযুক্ত সন্তান থাকা সত্ত্বেও গত ২০১৭ সালে কিশোরগঞ্জের এক যুবলীগ কর্মীকে খুন করে তার স্ত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করে ধরা খেয়ে পাবলিকের গণপিটুনি খেয়ে বিবাহ করতে বাধ্য হন। বিবাহর পর থেকে ঐ স্ত্রীর কোন ধরনের দায়িত্ব কর্তব্য পালন না করলেও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। একপর্যায় ঐ ভুক্তভোগী নারী আকরাম হোসেন বাদলের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জর্জ কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬৬৮/১/১৭, এছাড়াও সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অসংখ্য মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করেছেন।

অসংখ্য অপরাধ উল্লেখ করে চলতি বছর সিনিয়র সাংবাদিক ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান বাদি হয়ে গডফাদার আকরাম হোসেন বাদল, লিটন গাজী, নজরুল ইসলাম, খলিলুর রহমান ও আবুল কালাম মাঝি চক্রের মোট ১৮ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ঢাকা জজ কোর্টে ২ টি মামলা দায়ের করেন।

১ম টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। মামলা নং ৫৬/২০২০, তারিখ:১০/২/২০২০, ইংরেজি,
২য় টি চাঁদাবাজির মামলা। মামলা নং ২১১/২০২০, তারিখ : ১১/৩/২০২০ ইংরেজি,

এছাড়াও চলতি বছরের ১৮ জুলাই দুপুরে ডাক অফিসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ প্রধান, র‌্যাবের মহা পরিচালক ও পটুয়াখালী জেলার পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন আতিকুর রহমান। এছাড়াও আতিকুর রহমান ঢাকা মিরপুর মডেল থানায় ২ টি সাধারণ ডায়েরী করেন । ১ টির জিডি নং ৪৮২, তারিখ : ৬/৭/২০১৯ ইংরেজি। ২য় টির জিডি নং ৮৩০, তারিখ : ১৩/৭/২০২০ ইংরেজি

আকরাম হোসেন বাদল চক্রের উল্লেখযোগ্য কিছু অপকর্ম নিম্নে তুলে ধরা:

লিটন গাজীর হালচাল :
চাঁদপুর জেলার, মতলব থানার, দক্ষিণ চ্যাটালিয়া গ্রামের পিতৃ পরিচয়হীন ভয়ংকর সন্ত্রাসী ও মহা প্রতারক লিটন গাজী, রাস্তা থেকে কুড়িয়ে এক দম্পতি তাকে লালন পালন করেন । সে ছোট থেকেই খুবই দুষ্ট প্রকৃতির ছিল তাই অল্প বয়সেই চুরি থেকে শুরু করে ছোট ছোট নানান প্রকার অপরাধের সাথে সে জড়িয়ে পড়েন। বড় হওয়ার পর তার অপরাধের মাত্রা অনেক বেড়ে যাওয়ার ফলে পালিত পিতা-মাতা তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে বাধ্য হন। তার অপকর্মের ফলে পালিত পিতা মাতার অন্যান্য ছেলে-মেয়ে সহ ঐ বংশের কারও সাথেই কোন সম্পর্ক নেই। বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে সে সারা দেশে অসংখ্য মেয়ের জীবন ধ্বংস করেছেন। তার নিজের এলাকার সুবর্ণা নামের এক মেয়েকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ দিন স্ত্রীর মত ব্যবহার করে এক পর্যায়ে তার জীবন থেকে কেটে পড়েন। সুবর্ণার সাথে তার ভয়ংকর প্রতারণার অপরাধে এলাকার লোকজন তাকে ধরে এনে গণ ধোলাই দিলে বিবাহ করতে বাধ্য হন। বিবাহের পর কয়েক বছর শশুর বাড়ি ঘর জামাই থাকেন এবং শশুর বাড়ির অনেক টাকা পয়সা নষ্ট করেন। বিবাহের পর থেকে স্ত্রীর প্রতি কোন দায়িত্ব কর্তব্য পালন করতে না পারলেও নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। একটা মেয়ে সন্তান জন্ম হলেও লিটন গাজীর মধ্যে কোন পরিবর্তন আসেনি। বর্তমানে তার ঐ সন্তানের বয়স প্রায় ৮ বছর। সুবর্ণাকে বিবাহের পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন টাকা পয়সা দেননি বরং সুবর্ণার কয়েক ভরি স্বর্ণ অলংকার আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে সুবর্ণার বাবার বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছেন। লিটন গাজীর একমাত্র মেয়ে তার কাছে কিছু চাইলে সে বলেন, আমি খাই ভিক্ষা করে তোকে দিবো কোথা থেকে। চলতি বছরের শুরুতে আমাদের অপরাধ অনুসন্ধান টিমের প্রধান সিনিয়র সাংবাদিক ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓