1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
সীমান্ত পেরিয়ে শাজাহানপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে ঢুকছে মাদক - এশিয়া বার্তা
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

সীমান্ত পেরিয়ে শাজাহানপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে ঢুকছে মাদক

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪২৫ বার পড়া হয়েছে

। শাজাহানপুর ( বগুড়া) প্রতিনিধি: মাদক বিক্রি এবং সেবনের দায়ে বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় প্রায়ই কেউ না কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছেন। কোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বেশিরভাগই আবারও মাদকে জড়িয়ে পড়ছেন । কিছুদিন আগেও পালিয়ে থাকা মাদক কারবারিরা আবারো তৎপরতা শুরু করেছে। উপজেলার কোথাও ফেনসিডিল, ইয়াবা এবং গাঁজা উৎপাদন না হলেও দেশের সীমান্ত পেরিয়ে আসা মাদকগুলো উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ক প্রভাষক আবু সাঈদ জানান, আগে মাদকে জড়িতরা সমাজের লোককে দেখে ভয়ে থাকতো, কিন্তু বর্তমানে তাদের দেখেই সমাজের মানুষ ভয়ে থাকেন। মাদক চোরাচালান বন্ধে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। সীমান্তরক্ষীদের তৎপরতা বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে অধিকসংখ্যক বিজিবি নিয়োগ দিতে হবে। যেকোনোভাবে সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ করতে পারলে দেশের অভ্যন্তরে গ্রাম পর্যন্ত মাদক বিস্তার রোধ মাদক ঢুকেছে সেখানকার দায়িত্বরতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং প্রয়োজনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশ, এবং স্থানীয়দের দেয়া তথ্য থেকে জানা যায়, উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট গ্রামের বামনদিঘী পাড়ার বাবলু মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক ওরফে খাল্লাস। ফটিক মিয়ার ছেলে রুহুল ইসলাম । ফুলকোট ভাঙ্গি পাড়া গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক। গোবিন্দপুর গ্রামের পুরাতন কারবারি বিপ্লব হোসেন পুরোদমে মাদক বিক্রি করছেন। এছাড়াও মারিয়া গ্রামের পুরাতন মাদক বিক্রেতারা বর্তমানে পুরোদমে ইয়াবা এবং হিরোইন বিক্রি করছেন। আড়িয়া ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্য মাদক সেবনকারী থাকলেও বর্তমানে মাদক বিক্রেতার সংখ্যা অনেক কমেছে। টেকুর গাড়ি সংলগ্ন ফায়ারেন্স এলাকায় বাড়ি থেকেই গাঁজা বিক্রি করছেন পুরাতন বিক্রেতা মুকিল। প্রতিনিয়ত মটর সাইকেল এবং বিভিন্ন যানবাহনে সেবনকারীরা সেখানে যাতায়াত করেন। আর বি ব্লক এলাকায় ২ ইয়াবা বিক্রেতা কারবার করছেন মোবাইল ফোনে। পরিচিত সেবনকারীরা মোবাইল ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে সুবিধাজনক স্থানে ডেকে ইয়াবা হস্তান্তর করে থাকেন। চুপিনগর ইউনিয়নের কামারপাড়া পূর্বপাড়া( ছাপা পাড়া) গ্রামে ইয়াবা বিক্রি করছেন খোকা মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপদ স্থানে মাদক হস্তান্তর করেন শহিদুল। বড় পাথার এবং কচুয়াদহ গ্রামের পুরাতন পাইকারি কারবারিরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েছে। একসময় মাদকের পাইকারি বাজার ছিলো বর্তমান মাদলা স্ট্যান্ড এলাকায় । আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির সাথে কমেছে এই এলাকার মাদক কারবার। তবে সীমিত আকারে এখনো বিক্রি হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। খোট্রাপাড়া ইউনিয়নের চিহ্নিত পুরাতন ব্যবসায়ীরা পুরোদমে ইয়াবা বিক্রি করছেন।মাঝিড়া,খরনা হাট,রানিরহাট,শাবরুল সহ উপজেলার প্রায় এলাকায় ছেয়েছে ইয়াবা ট্যাবলেট। মোবাইল ফোনে রুহুল ইসলাম এবং খাল্লাস জানান, তারা মাদকের সঙ্গে জড়িত নন। তাদের আত্মীয় একাধিকবার থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া মানিক মোবাইল ফোনে জানান, তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তারা কেউ মাদক সেবন এবং বিক্রির সঙ্গে জড়িত নন। শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (সার্বিক) আজিম উদ্দিন জানান, মাদক বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িতদের তথ্য পাওয়া গেলে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓