1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
সুজানগরে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও চাষির মুখ মলিন, লাভবান হচ্ছেন মজুতদার ও ব্যবসায়ীরা - এশিয়া বার্তা
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০
প্রধান খবর:
নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা হলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল হোসেন খন্দকার নবাবগঞ্জে ব্রিজের কাজ শেষের আগেই বিল পরিশোধ ৫০ কোটি ডাকসু নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে চ্যানেল এস এর সাংবাদিকের মৃত্যু মানিকগঞ্জে অপারেশনের পর আবারো রোগীর মৃত্যু, গাফিলতির অভিযোগ স্বজনদের নবাবগঞ্জে সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি সামসুদ্দোহা গ্রেপ্তার দোহারে মহিলা দলের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মাহমুদপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জে টনসিলের চিকিৎসা নিতে এসে প্রাণ গেল গৃহবধূর! দোহারে বিএনপি নেতা হারুন মাস্টার হত্যাকাণ্ডে মূলহোতাদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা

সুজানগরে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও চাষির মুখ মলিন, লাভবান হচ্ছেন মজুতদার ও ব্যবসায়ীরা

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে

সুজানগর উপজেলা প্রতিনিধি
শেখ রেজাউল করিম রুবেল

পেঁয়াজের দাম বাড়লেও হাসি নেই চাষির মুখে। বর্তমানে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় লাভবান হচ্ছেন মজুতদার, ব্যবসায়ী ও অবস্থাপন্ন কৃষকেরা। চলতি বছর লোকসান না দিলেও তেমন লাভ পাননি সুজানগরের পেঁয়াজ চাষিরা। কারণ মাঠ থেকে পেঁয়াজ উঠানোর পরপরই ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে দিয়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত চাষিরা।

২ মাসের ব্যবধানে বর্তমানে এখন সেই পেঁয়াজের দাম ৩০০০ থেকে ৩২০০ টাকা। পেঁয়াজের বাজার দর নিয়ে কথা উঠতেই সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের নুরউদ্দিনপুর গ্রামের রফিক হোসেন নামক এক পেঁয়াজ চাষি বলেন আমাদের মত গরিব চাষির পেঁয়াজ আবাদে লাভ নেই। লাভ পায় মজুতদার, ব্যবসায়ী ও অবস্থাপন্ন কৃষকেরা।

কারণ আমাদের ঘরে যখন পেঁয়াজ থাকেনা,তখনই বাড়ে পেঁয়াজের দাম। উপজেলার ভাঁয়না ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন সংসারের খরচ মেটাতে ও চাষ বাবদ খরচ করতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও এনজিও থেকে নেওয়া টাকা পরিশোধের জন্য নতুন পেঁয়াজ উঠার পরপরই আমাদের মত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত চাষিদের বিক্রি করে দিতে হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুজানগরের এক পেঁয়াজ চাষি বলেন এখনো পৌরসভা সহ সুজানগর উপজেলার ভাঁয়না, মানিকহাট, নাজিরগঞ্জ, হাটখালী, দুলাই, রাণীনগর, তাঁতীবন্দ ও আহম্মদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মজুতদার ও ব্যবসায়ীরা শত শত মণ পেঁয়াজ আরো বেশি দামে বিক্রি করার আশায় গুদামে বাধাই/সংরক্ষণ করে রেখেছেন। তাই এদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করার দাবি জানান উক্ত কৃষক।

সুজানগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ময়নুল হক সরকার জানান বাংলাদেশের সকল উপজেলার মধ্যে প্রতিবছর সুজানগর উপজেলাতেই সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপন্ন হয়ে থাকে। এই উপজেলায় বছরে দুইবার মূলকাটা ও হালি পদ্ধতিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে হালি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু হয় জানুয়ারীর শুরু থেকে। আর মূলকাটা পদ্ধতিতে পেঁয়াজের আবাদ শুরু হয় অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে। আর এই পেঁয়াজ জমি থেকে কৃষকের ঘরে উঠতে সময় লাগে আড়াই থেকে সাড়ে তিন মাস পর্যন্ত।

তিনি আরো জানান এবারেও সর্বশেষ হালি পদ্ধতিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রওশন আলী জানান যে সকল মজুতদার ও ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার আশায় এখনও বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ গুদামজাত করে রেখেছেন তাদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুতই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓