1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
নতুন রূপ পাচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি - এশিয়া বার্তা
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

নতুন রূপ পাচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী জেলাপ্রতিনিধি:

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘি নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে। একই সাথে সোনাদীঘি ফিরে পাচ্ছে তার হারানোর ঐতিহ্য। সোনাদীঘিকে এখন অন্তত তিন দিক থেকে দেখা যাবে। দিঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হবে পায়ে হাঁটার পথসহ মসজিদ, এমফি থিয়েটার (উন্মুক্ত মঞ্চ) ও তথ্যপ্রযুক্তি পাঠাগার। এ লক্ষ্যে কাজ দ্রুত গতিতেই এগিয়ে চলেছে।

এক সময় সোনাদীঘি ছিল অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদীঘির চারপাশ উন্মুক্ত ছিল। এর পানি এতটাই স্বচ্ছ ছিল যে তা দিয়ে এলাকাবাসীর রান্নার কাজও চলত। পানিতে যাতে কেউ ময়লা ফেলতে না পারে, তা তদারকির দায়িত্বে থাকতেন রাজশাহী পৌরসভার কর্মচারীরা। পদ্মা নদীর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত ছিল দীঘি। এতে ভরা বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানি ঢুকত দীঘিতে। নদীর ঘোলা পানি থিতিয়ে যাওয়ার পর দেখা মিলত স্বচ্ছ পানির। ১৯৮০-৮১ সালের দিক থেকে সোনাদীঘির চারপাশে স্থাপনা নির্মাণ শুরু হয়। ঢাকা পড়ে সোনাদীঘির মুখ। রাস্তা থেকে আর সোনাদীঘি দেখা যেত না তখন।

সোনাদীঘির হারানোর ঐতিহ্য ফিরে আনতে ২০০৯ সালে প্রথম মেয়াদে উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) এর আওতায় ‘এনা প্রপার্টিজ’ নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৬ তলাবিশিষ্ট ‘সিটি সেন্টার’ নির্মাণ ও সোনাদীঘিকে সাজানোর চুক্তি করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রথম মেয়াদের সময়কালে (২০০৮-১৩) এর নির্মাণকাজ এগোলেও পরবর্তী ৫ বছর কাজ বন্ধ হয়ে থাকে। ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর সিটি সেন্টার ও সোনাদীঘিকে সাজানোর কাজে গতি ফেরান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা, মসজিদ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সোনাদীঘিকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। বৈধ ব্যবসায়ীদের সিটি সেন্টারে পুর্নবাসন করা হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোনাদীঘি মসজিদকে সিটি সেন্টারের স্থানান্তর করা হয়েছে। এরপর শুরু হয় স্থাপনা ভাঙার কাজ। নির্মাণ কাজ ও সাজানো শেষে সিটি সেন্টার হবে অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র আর সোনাদীঘি হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদনকেন্দ্র। সোনাদীঘিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার পুরো চিত্রই পাল্টে যাবে। দর্শনার্থীদের পাশাপাশি পুরো বাজার এলাকার ব্যবসায়ীরাও এর সুফল ভোগ করবেন। এই দীঘির চারপার্শে পর্যাপ্ত বসার জায়গা রাখা হবে। পরিবার নিয়ে মানুষ সেখানে বসবে। উপভোগ করবে স্বচ্ছ পানির জলাধার। রাতে আলোকায়ন থাকবে। থাকবে ফোয়ারা। সংস্কার শেষ হলে তিন দিক থেকে সোনাদিঘিকে দেখা যাবে। তখন এটি আগের মতোই নগরের একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হবে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ঐহিত্যবাহী সোনাদিঘী পাড়ে নবনির্মিত সিটি সেন্টার হবে রাজশাহীর সবচেয়ে চমৎকার আধুনিক বহুতল ভবন। সোনাদীঘিকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করা হবে। নির্মিত হবে নতুন মসজিদ। থাকবে বসার ও হাটার রাস্তা এবং উন্মুক্ত জায়গা। রাতে আলোকায়ন করা হবে। দিঘীকে সংস্কার করে স্বচ্ছ পানির ব্যবস্থা করা হবে। কাজ শেষে সোনাদিঘী ফিরে পাবে তার ঐতিহ্য ও নিজস্ব স্বকীয়তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓