1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া। - এশিয়া বার্তা
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১২:০৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া।

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

আবু ইউসুফ নিজস্ব নিউজ রুম।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার জন্মস্থানঃ ফতেহ পুর, পীরগঞ্জ -রংপুর ।

ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ডাকনাম সুধা মিয়া।

জন্মঃ- ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

পিতাঃ আবদুল কাদের মিয়া এবং মাতাঃ ময়েজুন্নেসা বেগম।

তিন বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ।

১৯৫৬ সালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট (উচ্চ মাধ্যমিক) পাস করেন ওয়াজেদ মিয়া।

১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এম এস সি পাস করেন। ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

এরপর দেশে ফিরে একই বছর ১৯৬৭ সালের ১৭ই নভেম্বর ড. ওয়াজেদ মিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনাকে বিয়ে করেন।

স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের কারনে ওয়াজেদ
মিয়া কিছু দিন কারাবরণ করেন, ১৯৭১ সালে এ
দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং এর আগে ও পরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।

সমাজের চিরচেনা মানুষের মানসিকতার সাথে যাঁর ছিল বরাবরই অনেক তফাৎ মতাদর্শ।বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রভাব শালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও, রাষ্ট্র ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুর সবচেয়ে কাছাকাছি থেকে ও কোনদিন তিনি ক্ষমতা চর্চায় আগ্রহী হননি।

ক্ষমতার উত্তাপের বিপরীতে তিনি ছিলেন স্থির,অচঞ্চল, নিভৃতচারী ও নিষ্কলুষ একজন ব্যক্তি। নিজের মেধা,
শ্রম ও যোগ্যতায় তিনি ক্রমে ক্রমে হয়ে উঠেছেন সত্যিকার মানুষের প্রতিচ্ছবি,নির্ভীক সৎ মানুষটি সারা জীবনের নিজস্ব পারিশ্রমিক অর্থায়নকৃত টাকা দিয়ে “সুধাসদন” নামক বাড়ীটি তৈরি করেছিলেন,যাহার কাহিনীটি বাংলার সর্বজনের নিকট অজানা কোন কল্পকাহিনী নয়।

পদার্থ বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া তত্ত্বীয় পরমাণু বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেছেন জীবনের দীর্ঘ সময়।তাঁর লেখা বই এবং অভিসন্দর্ভ পড়ানো হচ্ছে দেশ, বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। অধ্যয়ন ও গবেষণায় নিবিষ্ট
এই পরমাণু বিজ্ঞানী বিশ্ব সভায় বাংলাদেশকে
করেছেন সম্মানিত।

অাজ উনাকে মিস করছি কারন উনার লেখা বইটি পড়ে!

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা,
এম এ ওয়াজেদ মিয়া, পৃষ্ঠাঃ১৭৮-৭৯)

পাকিস্তানীদের আমি বিশ্বাস করি না, তারা হাতে ফুল নিয়ে এগিয়ে আসলেও না ।

উনার এই উক্তিটি ধ্রুব সত্য ছিল।

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ মারার পর পাকিস্তান বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭৪
সালের ২৩-২৪শে ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত
ইসলামী সম্মেলন সংস্থার অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর
অংশ গ্রহনের পর।

যদিও জুলফিকার অালী ভুট্টো এই সম্মেলনেই ৭১
এর জন্য মৌখিক ক্ষমা চায়, তারপরে ও এই সম্মেলনেই পাকিস্তানী তার চির শত্রু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেহে বন্ধুত্বের ছলে প্রবেশ করিয়ে দেয় নিরব ঘাতক ভাইরাস !!

যার পরে ১৯৭৪-এর ১৩ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ফুসফুসে ক্ষতের ধরা পড়ে।ক্ষত স্থান থেকে শ্বাস নালী বেয়ে অব্যাহত রক্ত ক্ষরণ হতে থাকায় তা বন্ধ করার জন্য তৎকালীন দেশের বিজ্ঞ চিকিৎসকদের সকল উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হলে,তখন দেশে রাজনৈতিক দুর্যোগ চলছে বিধায় বঙ্গবন্ধু চিকিৎসার্থে বিদেশ যেতে চাননি।

পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বঙ্গবন্ধুকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়, এবং ১৯ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু সপরিবারে মস্কোতে গমন করেন। মস্কোতে প্রায় ২১ দিন চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করে ১১ই এপ্রিলে তিনি দেশে ফিরেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড.এম.এ.
ওয়াজেদ মিয়ার লিখে যাওয়া বই থেকে
জানতে পারি যে একই বছরের এপ্রিলের ১৫ তারিখ বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডিস্থ বাস ভবনের ঠিকানায় লন্ডন
হতে একটি চিঠি আসে।

প্রেরক ছিলো পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের একজন ব্রিগেডিয়ার, তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন,১৯৭৪-এর ২৩-২৪শে ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলন সংস্থার অধিবেশনে
বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতির সুযোগে তাঁর শরীরে গোপনে অনুপ্রবেশ করানোর উদ্দেশে তাঁকে ক্যান্সার জাতীয় মারাত্মক ব্যাধির ভাইরাস প্রস্তুত করার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তান সামরিক কর্তৃপক্ষ।

তাঁকে বলা হয়েছিল যে, ঐ ভাইরাস এমন একটি সূঁচের ভিতরে সংরক্ষিত থাকবে যা হাতের তালুতে কিংবা আঙুলে সঙ্গোপনে রাখা যায়।

উক্ত ভাইরাস ভর্তি সূঁচটি জুলফিকার আলী ভুট্টোর হাতের তালুতে কিংবা আঙুলে স্থাপন করা হবে যাতে শেখ মুজিবের সঙ্গে ভুট্টোর করমর্দন কিংবা আলিঙ্গনের সময় সেটিকে শেখ মুজিবের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়।

একজন মুসলমান হিসেবে অপর একজন মুসলমানের ক্ষতি করার এই ঘৃণ্য প্রস্তাবে তিনি (ব্রিগেডিয়ার) অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন উল্লেখ করে চিঠিতে তিনি আরো লিখেছেন,সম্ভবত, অন্য কোন বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে এ জাতীয় ভাইরাস প্রস্তুত করে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তা শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের শরীরে ঐ সময়ে অনুপ্রবিষ্ট করিয়েছেন। পরিশেষে ব্রিগেডিয়ার সাহেব বঙ্গবন্ধুর আশু রোগমুক্তি কামনা করেছিলেন।

তাই আমাদের সবার মেধাতে স্মরণ রাখা অত্যাবর্শ্যক যে, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য পাকিস্তান এমন একটি ঘৃণ্য শত্রু দেশ, যে দেশটি সর্বদাই আমাদের ধ্বংস
কামনা করে থাকে।

^তাই আমাদেরও পাকিস্তানীদের বিশ্বাস করতে নেই, তারা হাতে ফুল নিয়ে এগিয়ে আসলেও না^
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া(সুধা মিয়া)।

কর্মজীবনে সফল পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে ১৯৯৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যাসহ হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগে ২০০৯ সালের ৯ মে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মাত্র ৬৭ বছর বয়সে তার মৃত্যু বরন করেন,মৃত্যু কালিন দু’সন্তানের জনক ছিলেন।

রংপুরের নিভৃত পল্লীর সেই ছোট্ট (সুধা মিয়া) আজ
নিজ গুণে দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ব জুড়ে চিরভাস্কর।
বিজ্ঞান আর মানবিকতার চর্চা সুধা মিয়াকে নিয়ে গিয়েছিল এক অনন্য অবস্থানে,তাই পরমাণু বিজ্ঞানী
ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে এদেশের মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে চিরদিন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓