1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
এস আই আকবর ও তাঁর সহযোগিরা কোথায়? সিসি ফুটেজসহ মুছে দেয়া হয় খুনের আলামত। - এশিয়া বার্তা
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

এস আই আকবর ও তাঁর সহযোগিরা কোথায়? সিসি ফুটেজসহ মুছে দেয়া হয় খুনের আলামত।

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

আবু ইউসুফ নিজস্ব নিউজ রুম।

এস আই আকবর ও তার সহযোগি পুলিশ সদস্যরা কোথায়? এ প্রশ্নটি যেমন সাধারণ মানুষের তেমনি পুলিশও জানে না সে কোথায় আছে? তবে অভিযুক্তদের

সম্পর্কিত নানা তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনার দিন দুপুর পর্যন্ত সাদা পোশাকে ফাঁড়িতেই ছিলো এস আই আকবর ভূঁইয়া। ওই সময়ে তড়িগড়ি করে ঘটনার সব আলামত নষ্ট করে ফেলে। এমনকি সিসি টিভির ফুটেজও মুছে দেয় সিলেটী নাটকের হিরো এস আই আকবর।
এদিকে, এস আই আকবর ‘হাওয়া’ হয়ে যাওয়ার পর সন্ধানে নামে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি আশুগঞ্জ

উপজেলার বেড়তলায় অভিযান চালানো হয়। সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। আকবর এখন কোথায় আছে সেটি জানেন না সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সুত্র জানায়, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। গত শনিবার ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হানের মৃত্যুর পর তড়িগড়ি করে খুনের সব আলামত নষ্ট ও সিসি টিভির

ফুটেজও মুছে দেয় দরোগা আকবর। আর এ কাজে সহায়তা করেছ তাঁর এক ঘনিষ্ট বন্ধু। আকবরের ওই বন্ধু ফাঁড়িতে থাকা সিসিটিভির ওই ফুটেজ নষ্ট করে ফেলে। এমনকি হার্ডডিস্কও সরিয়ে নতুন হার্ডডিস্ক বসানো হয়। এরপর মোবাইল ফোনসহ যোগাযোগ সব মাধ্যম বন্ধ করে আকবর চলে যায় আত্মগোপন। এ কারণে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিসিটিভির ফুটেজে কিছুই পাননি।

পুলিশের একটি সুত্র জানায়, দরোগা আকবর লাপাত্তা হওয়ার আগে ‘গণপিটুনির’ কথা পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা বিশ্বাস করেছিলেন। গুরুতর আহত হলে রায়হানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন সে ফাঁড়িতে নিয়ে আসার কথা অস্বীকার করে। কিন্তু ঘটনা ছিলো তাঁর পুরোটা উল্টো।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি এস আই আকবরের। ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী জেলা পুলিশ সুপারের

কার্যালয়ের গেইটের সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে ঘটনা। এরপর আকবরের সহযোগী এক পুলিশ সদস্য ঘটনাটি স্বীকার করে। বলে, সাদা পোশাকে আকবরের নেতৃত্বেই ধরে আনা যুবক রায়হানকে নির্যাতন করা হয়। রায়হানকে আকবর নির্যাতন করে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন অপর পুলিশ সদস্যরা নির্যাতন করছিলো তখন নির্যাতনকারী ওই পুলিশ সদস্যকে ‘বাহবা’ দেন আকবর। মাত্র ১০ হাজার

টাকার জন্য রায়হানের হাত ও পায়ের নখ উপড়ে ফেলাসহ নানা নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের সময় ফাঁড়ির ভেতর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরা। রায়হানের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী কুদরত উল্লাহ রেস্ট হাউজের বাসিন্দারা সেই চিৎকার শুনেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓