1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
বাপের ভিটায় অঝোরে কাঁদলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবত্তী। - এশিয়া বার্তা
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০১:৫৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

বাপের ভিটায় অঝোরে কাঁদলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবত্তী।

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

আবু ইউসুফ নিজস্ব নিউজ রুম।

বাপের ভিটায় অঝোরে কাঁদলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী।ঝালকাঠি: উড়ে এলেন হেলিকপ্টারে। থামলেন বাপ-দাদার ভিটায় এসে। স্পর্শ নিলেন মাটির। স্মৃতি কাতরতায় খানিকটা কাঁদলেন। বাপ দাদার সেই গ্রামের পাশ দিয়ে বইয়ে যাওয়া নদীতেও নামলেন। দু’হাতে জলের স্পর্শ নিলেন। এরপর শীতল সে জলের ঘ্রাণ পেতে বোতলে ভরে নিলেন।

ওপার-এপার বাঙলার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী জীবনমুখী গায়ক নচিকেতার এ কাণ্ড দেখে অবাক হলেন ছুটে আসা হাজারো গ্রামবাসী।

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার উত্তর চেঁচরী গ্রামে তখন হাজারো মানুষের ঢল। নচিকেতাকে একনজর দেখতে ভিড় জমিয়েছেন তারা। এ গ্রামেরই গাঙ্গুলী বাড়িটি ঘিরে তার অনেক স্মৃতি। এ বাড়ির ঐতিহ্যবাহী দিঘী ও বমনের খালের পাড়ে বসে সেসব স্মৃতি হাতড়ানোর চেষ্টা করেন।

এক পর্যায়ে গাঙ্গুলী বাড়ির বারান্দায় জিন্স আর কেডসসহ দু’পা ছড়িয়ে বসে পড়েন। দুহাতে আঁকড়ে ধরেন মাটি। এক পর্যায়ে দুচোখ থেকে গড়িয়ে পড়তে থাকে পানি। এসময় অনেকের চোখ বাষ্পরুদ্ধ হয়ে যায়।

সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে সোজা পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নামেন নচিকেতা। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা আর স্কুল কর্তৃপক্ষ শিল্পীকে স্বাগত জানান।

নচিকেতার দাদু ললিত কুমার গাঙ্গুলী ছিলেন বিহারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। দাদুর স্মৃতিমাখা বিদ্যালয়টি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। আগের সেই চেহারা হয়তো নেই। কিন্তু এ বিদ্যালয়ের বাতাসেই রয়েছে যেন দাদার নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ঘ্রাণ। খানিকটা সময় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন তিনি।

ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান তার গাড়িতে করে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে চেচরীরামপুর গ্রামে বাপ-দাদার বসতভিটা গাঙ্গুলী বাড়িতে নচিকেতাকে নিয়ে আসেন। এ বাড়িতে ঐতিহ্যবাহী দিঘী ও বমনের খালের পাড়ে বেড়াতে যান তিনি।

১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের আগেই ভারতে চলে যান নচিকেতার পরিবার। বাপ-দাদার ফেলে যাওয়া সেই শূন্যভিটায় এখন বসবাস করেন মরিয়ম বেগম নামে এক মধ্যবয়স্ক নারী। সেই পুরোনো, খানিকটা জীর্ণ হয়ে যাওয়া বাড়ির বারান্দায় মাথা নিচু করে নচিকেতা বসে থাকেন অন্তত মিনেট দশেক। এসময় তার চোখ ভিজে ওঠে। তিনি নিরবে কেঁদে চলেন। তার কান্নায় উপস্থিত অনেকেই অশ্রুভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন।

কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা বলেন, ‘১৯৪৫-৪৬ সালের দিকে আমার দাদু ললিত মোহন চক্রবর্তী ভারতে চলে যান। এত বছর সে দেশে বসবাস করছি। বহুদিনের আশা বাপ-দাদার ভিটেতে আসার। আজ সে আশা পূরণ হলো।’

ঘুরতে ঘুরতে এক সময় নচিকেতা তার গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া কাটাখালী নদীতে নেমে পড়েন। স্পর্শ করেন শীতল সে পানি। শুধু তাই নয়, স্মৃতি করে রাখতে সে পানি বোতলে ভরে নেন।

জীবনমুখী গানের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ শিল্পী বলেন, পৈত্রিক জমি উদ্ধারের কোনো ইচ্ছে নেই। ভিটেমাটি দখল হয়ে গেছে এ নিয়ে কোনো ক্ষোভ নেই। তবে সরকার যদি সেই ভিটেমাটি দখলমুক্ত করে হাসপাতাল নির্মাণ করে তাহলে অনেক বেশি খুশি হতাম। সুত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓