1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
শিক্ষিত বেকারদের নিয়ে কিছু কথা দুই হাজার বিশ সালের। - এশিয়া বার্তা
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

শিক্ষিত বেকারদের নিয়ে কিছু কথা দুই হাজার বিশ সালের।

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আবু ইউসুফ নিজস্ব নিউজ রুম।
দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।
শিক্ষা মানুষকে দেয় আলো এবং সম্মুখে চলার পথ। শিক্ষা যখন আলো দানের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের অন্ধকারে নিক্ষেপ করে তখন আমরা আসলে কাকে দায়ী করব? শিক্ষার্থীদের, না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে, না অভিভাবকদের, না শিক্ষাব্যবস্থাকে না রাজনৈতিক নেতৃত্বকে? আসলে কমবেশী সবাই দায়ী।

ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। পরিস্থিতি যে কত ভয়াবহ তা বিভিন্ন পরিসংখ্যান এবং চিত্রের মাধ্যমে বুঝা যায়। আমরা যখনই কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষা নিতে যাই, তখন দেখা যায় শিক্ষিত বেকারদের কী করুণ হাল। হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার ঘুরে বেরাচ্ছে চাকুরি নামক সোনার হরিণের পিছনে। এই হরিণ ধরার জন্য একশটি পদের বিপরীতে

কয়েকশ কিংবা কয়েক হাজার প্রার্থী এসে হাজির হয়, সবাই উচ্চশিক্ষিত। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এবং বছরের পর বছর তারা হয় বাবা-মার উপর কিংবা টিউশনি বা এ ধরনের কিছু অস্থায়ী পেশার উপর নির্ভর করে চলছে। কোথায় তাদের ভবিষ্যত, কোথায় দেশকে কিছু দেয়ার চিন্তা আর কোথায় সুকুমার বৃত্তি কিংবা দেশ সেবার চিন্তা। শুধুই বেঁচে থাকার সংগ্রাম। এই চিন্তাই তাদের আচ্ছন্ন করে রাখে সর্বক্ষণ। তাদের চোখে মুখে ফুটে উঠে, যে দেশ তার নাগরিকদের তেমন কিছু দিতে পারে না, সে দেশের নাগারিকগণও সে দেশকে তেমন কিছু দিতে চায় না বা পারে না ।

ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষার সব নিয়মকানুন জানা থাকা সত্ত্বেও কঠিন বাস্তবতা

এবং জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত তাদেরকে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডেই কেঁদে ফেলতে বাধ্য করেছে। কেউ এসেছে বোনের ভর্তির টাকা দিয়ে সুদুর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকায় পরীক্ষা দিতে, কেই শয্যাগত পিতার চিকিৎসার টাকা যোগাতে পারছে না বরং সেই সংসারের উপরই নির্ভর করে তার শিক্ষিত জীবন চালাতে হচ্ছে, নেই বাবার জমি যা দিয়ে উপার্জন বাড়াতে পারে বা কিছু করে খেতে পারে।

এসব শিক্ষিত তরুণরা চাকুরীর পিছনে না ছূটে যদি নিজের গ্রামে ফিরে যায় এবং নিজেদের অল্প পুঁজি নিয়ে সমবায় সমিতি গঠন করে ছোটখাট ব্যবসা যেমন মাছের চাষ করা, হাঁস-মুরগীর ফার্ম করা, তরি-তরকারী ও উন্নত জাতের ফল চাষ, কৃষিকাজ উন্নত জাতের ধান উৎপাদন ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত হতে পারে।

একদিকে আমাদের শহরগুলো আর অধিক জনসংখ্যার ভার বইতে পারছে না। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন বস্তি। আর বস্তিতে সৃষ্টি হচ্ছে মাদক আর অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া। চরম স্বাস্থ্য হুমকির

মতো পরিবেশ। কী দরকার শিক্ষিত তরুণদের ছোট মেসে থাকা, গুটিসুটি হয়ে এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা আর রাস্ট্রের উপর চাপ বাড়ানো। তারা নিজেরাই কর্মসংস্থান সৃস্টি করতে পারবে, উপকার করতে পারবে সাধারন মানুষের, নিজেরা কারো মুখাপেক্ষী হবে না। নির্ভরশীল হবে না সরকার কিংবা দেশের প্রতি।

দেশের প্রতিটি ছোট ছোট জেলা শহরগুলোর কলেজে এখন অনার্স পড়ার সুযোগ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা অনার্স পড়ছে পাঁচ, ছয় কিংবা সাত বছর যাবত। তারপর মাস্টার্স করছে আরও এক দু-বছর ধরে।

পুরো সময়টাই তারা কৃষক কিংবা স্বল্প আয়ের বাবা-মার স্বল্প উপার্জনের উপর নির্ভর করে পড়াশুনা করছে। বছরের পর বছর তারা মেসে থাকছে আর স্বপ্নের দিন গুনছে কবে নিজে উপার্জনক্ষম হবে, কবে বাবা-মা ভাইবোনদের উপকার করবে কবে নিজে বিয়েশাদি করে সুখের সংসার গড়বে। কিন্তু পাশ করার পর শুরু হয় আর এক বিড়ম্বনা। চাকুরির জন্য ছুটতে হয় দ্বারে দ্বারে আর অফিসে অফিসে। কিন্তু চাকুরি মিলছে না। হতাশা নিত্যসঙ্গী।

কলেজে পড়ার সময়ই সমবায়ের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন কর্মমূলক ও উৎপাদনমুখী কিছু একটা করতে পারে। তারা রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে না ছুটে এসব কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারলে দেশ জাতি এবং নিজের পরিবার উপকৃত হবে। জীবনে সাফল্য আসবে।
যদি এই কথাগুলো বিশ্বাস না হয় তাহলে একবার দয়া করে ঢাকা শহরে এসে দেখবেন যে চাকরি পাওয়াটা কতটা কষ্টের তা বলার ভাষা আমার জানা নাই সূত্রঃ দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓