বিধান কুমার বিশ্বাস।
রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সনদ জালিয়াতির জন্য দুদকে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসাবে মোহাম্মদ সোলায়মান হোসাইন (৩৫) কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কালুখালি উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের আলহাজ্ব আমেনা খাতুন বিদ্যাপীঠের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ সোলায়মান হোসেন কম্পিউটার নিয়োগ কালীন সময়ে জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী ( নট্রামস) বগুড়া থেকে ৬ মাস মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি সনদ পত্র দাখিল করেন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ উদ্দেশ্যে। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া সনদ পত্র তৈরি করে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদনের সাথে সঠিক হিসাবে দাখিল করে সহকারি শিক্ষকের পদে চাকরি গ্রহণ করেন এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে জানুয়ারী ২০১২ হতে ফেব্রুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত সরকারি অংশের বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯ শত ৬০ টাকা উত্তোলন পূর্বক গ্রহণ করে। দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানকালে সহকারি শিক্ষক মোঃ সোলায়মান হুসাইন কর্তৃক দাখিলকৃত কম্পিউটার সনদপত্র টি সঠিক কিনা তা যাচাই করার জন্য কম্পিউটার সনদ পত্রের কপি বর্ণিত জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী বগুড়া প্রেরণ করা হয় এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালক, জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বগুড়া, স্মারক নং - নেকটার/ বগ/ ব্রেঃপ্রাঃ/২০১৭/৮৭-০২/ অংশ(১১)৪৫৮ তারিখ ১৬-০৪-২০১৭ খ্রিস্টাব্দ মূলে জানান যে, উক্ত সনদপত্র টি সাবেক নট্রামস কর্তৃক ইস্যুকৃত নয়। এদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ সহ পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে গত ১৯ শে ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি উপেক্ষা করে আদালতে জি.আর ১৩৮/১৭ ফৌজদারি মামলার থাকা সত্ত্বেও সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরিদ শেখ এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নিয়োগ কমিটির মাধ্যমে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আদালতের ব্যাপার আদালত যে রায় দেবেন সেই মোতাবেক আমারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।চলবে।