1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
দোহারে বিচারে শালিসিদের উপর কিশোর গ্যাং এর হামলা,আহত ৩ - এশিয়া বার্তা
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:১৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০
প্রধান খবর:
মানিকগঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল দোহারে নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা নবাবগঞ্জে মাদকের অপব্যবহার ও প্রসার রোধে ব্যতিক্রমী সভা মাহমুদ আরশীন জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক এসোসিয়েশনের সদস্য নির্বাচিত ট্রাকচাপায় শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু: মানিকগঞ্জে শোকের ছায়া বিএনপি নেতার উদ্যোগ, ৪ যুগ পর রাস্তা পেল দোহার পৌরবাসী নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত,আহত-২ ব্যবসায়ীর দাড়ি ধরে মারধরের ঘটনায় আসামি গ্রেফতার মানিকগঞ্জে ভেজাল ওষুধ বাজারজাতকরণের দায়ে জরিমানা, ওষুধ জব্দ মানিকগঞ্জে আল মদিনা ও সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

দোহারে বিচারে শালিসিদের উপর কিশোর গ্যাং এর হামলা,আহত ৩

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
  • ৫৬৮ বার পড়া হয়েছে

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহার উপজেলায় একটি বিচারে শালিসিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে উপজেলার নারিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার নারিশা আম্বুর দোকান এলাকায় আবুল কাশেম ওরফে কাশি ও তার নিজ ভাতিজা ওয়াজ উদ্দিনের সাথে গাছ কাটা নিয়ে পাশের বাড়িতে বিচার বসে শালিসিরা। বিচারে প্রধান বিচারক হিসেবে উপস্থিত হোন দোহার উপজেলা যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রজ্জব মোল্লা ও স্থানীয় মুরব্বিগন। সেখানে কাশির পক্ষ নিয়ে বিচারে আসে স্থানীয় সম্রাট মোল্লা ও তার কিশোর গ্যাং। বিচার চলাকালীন এক পর্যায়ে রজ্জব মোল্লার সাথে কথা কাটাকাটি হয় সম্রাট মোল্লার সাথে। এসময় উগ্র মেজাজে রজ্জব মোল্লার সাথে খারাপ আচরনও করেন সম্রাট। তখন রাগ হয়ে বিচার ছেড়ে চলে যান রজ্জব মোল্লা।
এসময় বিচারে উপস্থিত দোহার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আতাউর রহমান সানি হাতে মোবাইল নিয়ে নিউজ দেখছিলেন। ভিডিও করছে মনে করে তখন সম্রাট মোল্লা ও তার কিশোর গ্যাং এর লোকজন সাংবাদিক আতাউর সানির কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। তখন পরিস্থিতি গরম হয়ে পড়লে উপস্থিত ওয়াজ উদ্দিনের আরেক চাচাতো ভাই সাপ্তাহিক নববাংলার প্রকাশক বিল্লাল হোসেন সাংবাদিককে রক্ষা করতে এলে তার উপর হামলা করে সম্রাট ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। বিল্লাল হোসেনকে রক্ষা করতে তার মা ও চাচাতো ভাই ফারুক এগিয়ে এলে তাদেরও মেরে রক্তাক্ত করে আহত করে স¤্রাট বাহিনী। ঘটনার সময় দোহার থানার সদস্য এসআই দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত থাকলেও তিনি নিরব ভূমিকা পালন করেন। পরে উর্ধতন অফিসারের নির্দেশে সাংবাদিকের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে দেন তিনি।
এ বিষয়ে আহত বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার চাচা কাশির সাথে আব্দুল মান্নার চাচার ছেলে ওয়াজ উদ্দিনের সাথে গাছ কাটার বিষয় নিয়ে আজকে বিচার হচ্ছিলো। হঠাৎ বিচারের শেষ দিকে সম্রাট রজ্জব মোল্লার উপর চড়াও হয়ে উঠলে পরিস্থিতি একটু গরম হয়ে পরে। রজ্জব মোল্লা চলে যাওয়ার পরেই সম্রাটের সন্ত্রাসী বাহিনী হঠাৎ করে সাংবাদিক আতাউর সানির হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে তার উপর হামলার চেষ্টা করে, আমি পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে আমার উপরও হামলা করে আমাকে রক্তাক্ত করে ফলে ওরা। এমনকি আমার বৃদ্ধ মা ও চাচাতো ভাই ফারুক এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা করে রক্তাক্ত করে ফেলে । বিচারে আমিও একজন বিচারক হিসেবেই উপস্থিত ছিলাম।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসআই দেলোয়ার জানান, অভিযোগটা আমার কাছে ছিলো। তারা স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টা মিমাংসা করবে বলে আমাকে ফোন দিলে আমি সেখানে যাই। বিচারের সিদ্ধান্ত সম্রাট মোল্লা না মেনে রজ্জব মোল্লার সাথে বেয়াদবি করে। তখন রজ্জব মোল্লা চলে যায়। সেখানে সাংবাদিক সানি ভাই মোবাইল হাতে নিলে সম্রাটের লোকজন তার উপর ও বিল্লাল হোসেনের উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। আমি ফেরানোর চেষ্টা করেছি। আমি একা ছিলাম। সাংবাদিক সানি ভাইর কিছু হয়নি, তাকে সেভ করা হয়েছে কিন্তু বিল্লাল হোসেন আহত হয়েছে। স¤্রাট একটি বেয়াদব ছেলে। পরে আমি সাংবাদিককে ফোনটি উদ্ধার করে দিয়েছি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রজ্জব মোল্লার বলেন, স¤্রাট মোল্লা এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। ওর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। আজকে ছোট একটা ঘটনা নিয়ে পক্ষ পাতিত্ব করে হামলা ও মারধর করেছে সে। এ ঘটনায় সম্রাটের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
অভিযুক্ত স¤্রাটের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
দোহার থানার ওসি তদন্ত আজহারুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓