নিজস্ব প্রতিবেদক. জাতীয় বাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ভূমি নিবন্ধন বাবদ বর্ধিত উৎসে করারোপে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় কর্মবিরতি পালন করছেন দলিল লেখকরা।
গেজেট অনুসারে দলিলে উল্লেখিত ভূমির মূল্যের ৬% বা কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করারোপের প্রতিবাদে দলিল লেখকরা কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস ঘোষিত গেজেট অনুসারে ভূমি নিবন্ধনের ঘোষণা দিলে দলিল সম্পাদনকারী দাতা-গ্রহিতরা অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে বেকার হয়ে পড়া দলিল লেখকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী সরদার ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম খান জানান, বৃহস্পতিবার নতুন গেজেট অনুযায়ী দলিল সম্পাদনের ঘোষণা দেন উপজেলা সাব-রেজিস্টার। এতে দলিল সম্পাদনকারী দাতা-গ্রহিতরা হতবাক হয়ে পড়েন। তারা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। দলিল লেখকরাও হতবাক হয়ে পড়েন।
পরে নতুন ঘোষিত গেজেট দেখে তারা দলিল সম্পাদনে অপরাগতা প্রকাশ করে চলে যান। এতে সমিতিভুক্ত ১১৭জন দলিল লেখক বেকার হয়ে পড়েন। দুপুরের দিকে সর্বসম্পতিক্রমে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত হয়।
নবাবগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্টার মো. আবুল কালাম আজাদ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জাতীয় বাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ভূমি নিবন্ধন বাবদ উৎসে করারোপের বিষয়টি দলিল লেখকদের জানানো হয়। এতেই তারা কর্মবিরতি পালন করছেন। আমার কিছু করার নেই। সরকারি সিদ্ধান্তের পক্ষেই আমি।
অপরদিকে, জাতীয় বাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ভূমি নিবন্ধন বাবদ অতিরিক্ত উৎসে করারোপে জন-ভোগান্তি লাঘবে ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ঢাকার দোহার উপজেলার জনগণ।
দোহার উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে লিখিতভাবে জানানো হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ৩ অক্টোবর ২০২৩ খ্রী. বাংলাদেশ গেজেট এস.আর.ও নং ২৮৩ আইন/আয়কর ১৪/২০২৩ এর মাধ্যমে দোহার উপজেলার সকল মৌজার ভূমি নিবন্ধন উৎসেকর কাঠা প্রতি কাঠাপ্রতি ৫০ হাজার টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষ কাঠাপ্রতি ৮০ হাজার হতে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভূমি হস্তান্তর দুরুহ ও অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
অতএব, ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের প্রতি দোহারবাসীর প্রাণের দাবী- ‘আমাদের পাশর্^বর্তী জেলা ও উপজেলা সমূহের ন্যায় আমাদের উৎসে কর নির্ধারণে আপনার সদয় সহানুভূতি কামনা করছি।”