নিজস্ব প্রতিবেদক. তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বারো বছর বয়সী এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর ও তার মাকে আটক করেছে পুলিশ।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি শাহ্ জালাল জানান, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের শোল্লা চন্দ্রপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত তরি বাড়ৈই (৬) ওই এলাকার সুমন ও বকুল বাড়ৈই দম্পতির একমাত্র মেয়ে। স্থানীয় দূর্গা মন্দিরে শিশু শ্রেনীতে পড়তো সে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী আবু স্বাদকে (১২) আটক ও তার মা শিমুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের মা বকুল জানান, তরি আজ বেলা ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় স্থানীয়দের সহায়তায় অনেক খুঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রতিবেশি সাদদের বাড়ির পাশের কলাগাছের ঝোপের নিচু জায়গায় মাটিতে অর্ধ পুঁতে রাখা অচেতন অবস্থায় মেয়েকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা সাদ ও তার মাকে আটকে করে তরিকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। আমার একমাত্র মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে আমি ওদের ফাঁসি চাই।
প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে ওসি শাহ্ জালাল জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ওই শিশু দুইটির মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বাদ প্রথমে তরিকে একাধিক চড় থাপ্পড় মারে। পরে লাঠি দিয়ে ওর গালে ও মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করলে তরির মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় স্বাদকে আটক করা হয়েছে। সে তরিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য মাটিতে পু্ঁতে রাখতে চেয়েছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। লাশ গুম ও ঘটনার সঙ্গে স্বাদের মা জড়িত আছে সন্দেহে তাকেও আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। তাকে থানায় আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
এছাড়াও এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।