1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
মানিকগঞ্জে পোস্টমাস্টারের স্বেচ্ছাচারিতায় বিপাকে চার শতাধিক গ্রাহক - এশিয়া বার্তা
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০
প্রধান খবর:
পাওনা টাকা দিতে গিয়ে নিখোঁজ নবাবঞ্জের ব্যবসায়ী জেলা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দোহারে ইয়াবা রানী টুনি ও সহযোগী জসীম গ্রেফতার নবাবগঞ্জের কাশিমপুর থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রনি গ্রেপ্তার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার আলী আব্বাসের স্মরণসভা দোহারে রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ প্রান্তিক জনগোষ্টির স্বাস্থ্য সেবায় সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে- নবাবগঞ্জে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা দোহারে ইয়াবাসহ মাদক কারবারী গ্রেপ্তার দোহারে ডাকাত সর্দার রমজানসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার মানিকগঞ্জে রাস্তা বন্ধ করে ঘর নির্মাণ, দুর্ভোগে ছয় গ্রামের মানুষ

মানিকগঞ্জে পোস্টমাস্টারের স্বেচ্ছাচারিতায় বিপাকে চার শতাধিক গ্রাহক

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩২৫ বার পড়া হয়েছে
মানিকগঞ্জে পোস্টমাস্টারের স্বেচ্ছাচারিতায় বিপাকে চার শতাধিক গ্রাহক

দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে কষ্টার্জিত অর্থ পোষ্ট অফিসে রেখে বিপাকে পরেছে চার শতাধিক গ্রাহক। এ বিষয়ে প্রতিকার ও পোষ্ট মাষ্টারের শাস্তির দাবিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। প্রচলিত ব্যাংকের চেয়ে লভ্যাংশ বেশি হওয়ায় এসকল গ্রাহক পোস্ট অফিসে টাকা জমা করেছিলেন।

অভিযোগ সূত্র ও সরেজমিনে জানা গেছে, হরিরামপুর উপজেলা পোষ্ট অফিসে ২০২৩ সালে চারশত আঠারোজন গ্রাহক ফিক্স ডিপোজিট (এফডি) করেন। সেসময় পোস্ট মাষ্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন নরেশ চন্দ্র ঘোষ। পোষ্ট মাষ্টার স্বেচ্ছাচারী করে প্রতিটি গ্রাহকের টাকা লভ্যাংশের বদলে বিনা লভ্যাংশে জমা করেন। পরবর্তীতে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে গ্রাহকেরা দেখতে পান তাদের টাকায় কোন লভ্যাংশ যোগ হয়নি।

অভিযোগকারী মতিয়ার রহমান বলেন, ব্যাংকের থেকে পোস্ট অফিসে লভ্যাংশ বেশি দেওয়ায় আমি পাঁচ লাখ টাকার এফডি করি। টাকা তুলতে গেলে উপজেলা পোস্ট মাস্টার জানান আমি কোন লভ্যাংশ পাবোনা। শুধু মূল টাকা নিতে হবে। আমি তো লাভের আশাতেই টাকা জমা রেখেছিলাম। আমি তো কোন ভুল করি নাই। এ দায় আমি নেব কেন। আমার লভ্যাংশে টাকা চাই এবং পোস্টমাস্টারের বিচার চাই।

ভুক্তভোগী আম্বিয়া বেগম বলেন, ব্যাংকের চেয়ে পোস্ট অফিসে লাভ বেশি ও নিরাপদ হওয়ায়। আমি দুই লাখ টাকা পোস্ট অফিসে এফডি করি। প্রতি লাখে এক বছরের দশ হাজার টাকা পাওয়ার কথা। সেখানে আমার টাকায় কোন লভ্যাংশই জমা হয়নি। এফডি করার সময় ফরমের জন্য একশত টাকা এবং ঘুষ হিসেবে পাঁচশত টাকা চেয়েছিলেন পোস্ট মাষ্টার নরেশ চন্দ্র ঘোষ। তার দাবিকৃত টাকা দেওয়ার পরও আমি কেন ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। আমি এর বিচার চাই।

হরিরামপুর উপজেলার বর্তমান পোষ্ট মাষ্টার মো. কফিল উদ্দিন বলেন, এটা পূর্বে কর্মরত নরেশ চন্দ্র ঘোষের অনিয়ম। এরসাথে আমি জড়িত নই।

সাবেক হরিরামপুর উপজেলা পোস্টমাস্টার (বর্তমানে সাভার ক্যান্টনমেন্ট সাব পোস্ট অফিসে কর্মরত) নরেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে এ ভুলটি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে স্যারেরা কাজ করতেছে আশা করছি দ্রুতই সমাধান হবে।

ঢাকা ডিভিশনের পোস্ট অফিস সুপার মো. আব্দুর রহিম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যারা এখনো টাকা উত্তোলন করেনি তারা একটু ধৈর্য ধরলে আমরা লাভের টাকা দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। ইতোমধ্যে যারা টাকা উত্তোলন করেছে তাদের জন্য কিছু করার নাই। পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান আছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓