1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
মানিকগঞ্জে অনিয়ম-দুর্নীতির বরপুত্র ইউএনও আমিনুল ইসলাম - এশিয়া বার্তা
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০
প্রধান খবর:
পাওনা টাকা দিতে গিয়ে নিখোঁজ নবাবঞ্জের ব্যবসায়ী জেলা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দোহারে ইয়াবা রানী টুনি ও সহযোগী জসীম গ্রেফতার নবাবগঞ্জের কাশিমপুর থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রনি গ্রেপ্তার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার আলী আব্বাসের স্মরণসভা দোহারে রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ প্রান্তিক জনগোষ্টির স্বাস্থ্য সেবায় সবাইকে দায়িত্ব পালন করতে হবে- নবাবগঞ্জে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা দোহারে ইয়াবাসহ মাদক কারবারী গ্রেপ্তার দোহারে ডাকাত সর্দার রমজানসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার মানিকগঞ্জে রাস্তা বন্ধ করে ঘর নির্মাণ, দুর্ভোগে ছয় গ্রামের মানুষ

মানিকগঞ্জে অনিয়ম-দুর্নীতির বরপুত্র ইউএনও আমিনুল ইসলাম

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ৫৭২ বার পড়া হয়েছে
মানিকগঞ্জে অনিয়ম-দুর্নীতির বরপুত্র ইউএনও আমিনুল ইসলাম

দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ: অনিয়ম দুর্নীতি আর ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ। অবৈধ ড্রেজার বানিজ্যসহ তার রয়েছে অসংখ্য দূর্নীতি। তিনি ৩৫ তম ব্যাচের (বিসিএস) কর্মকর্তা। ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন এই কর্মকর্তা। তিনি যোগদানের পর থেকেই টাকার নেশায় বিভোর হয়ে পড়েন।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলা পরিষদের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের
অভ্যন্তরীন উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের আওতায় ৫টি প্যাকেজ বরাদ্দ দেয়া হয়। উপজেলার বাসা বাড়ি মেরামত,ড্রেনেজ মেরামত এবং রাস্তা সংস্কারের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ পান ইউএনও। এই প্রকল্পের আওতায় কোন কাজ করা হয়নি। এই প্রকল্প কাজ না করেই ৪০ লাখ টাকা বিল উত্তোলন করে নিজে আত্মসাত করেছেন। এছাড়া একই অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদে মশা নিধন কার্যক্রমে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে যন্ত্রপাতি কেনাকাটার জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ পান এই কর্মকর্তা। এখাতের আওতায় কোন যন্ত্রপাতি কেনাকাটা হয়নি। যন্ত্রপাতি না কিনে তিনি বরাদ্দের ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া ঘিওরের অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ড্রেজার প্রতি মাসে একলক্ষ থেকে ৯০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়ে অবৈধ ড্রেজারের বৈধতা দেন তিনি। এই খাত থেকে গত একবছরে তিনি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে সরকারি জলমহাল ইজারা দিয়ে তার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাকে জলমহাল থেকে মাটি বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন এই কর্মকর্তা। টেন্ডার ছাড়াই সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে সে টাকাও নয়ছয় করেছেন তিনি।

এছাড়া চলতি বছরের জুলাই মাসে বার্ষিক উন্নয়ন (এডিপির) আওতায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিকাশে বেকার যুবকদের ( নারী পুরুষ) হস্তশিল্প প্রশিক্ষণের টাকা ব্যাপক হরিলুট করেছে তিনি। ওই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে নিজের নামে বিল ভাউচার করেছেন তিনি। এবং প্রশিক্ষক হিসেবে তার অফিসের আরো ৪ জনের নামে বিল বাউচার করে বেকার যুবকদের টাকা আত্মসাত করেছেন। প্রশিক্ষণর্থীদের দুইদিন প্রশিক্ষণ করানো হয়। উপজেলা হলরুমে প্রশিক্ষণ করিয়ে বাহিরে একটি প্যান্ডেল বাবদ বিল বাউচার করা হয়েছে। এই খাতেও ইউএনও ২ লাখ টাকা নয়ছয় করেছেন।

ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের বেতন উত্তোলনের সময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। এই টাকা তার সিএ আতাউয়ের মাধ্যমে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি উপজেলা ভবনের ১৮ টি মেহুগুনি গাছ ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। কমিটির কোন অনুমতি ছাড়া তিনি নিজেই গাছ বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন। এনিয়ে বেশকিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

ক্ষুদ্র হস্তশিল্প প্রশিক্ষণের ব্যাপারে উপজেলা বাস্তবায়ন প্রকল্প কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে ২ হাজার টাকা পেয়েছি। কিন্তু আমার নামে ৬ হাজার টাকার ভাউচার দেখে আমি অবাক হয়েছি। হাজিরার স্বাক্ষর নিয়ে এই বিল ভাউচার করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন কমিটির এক সদস্য জানান, ইউএনও আমিনুল ইসলাম বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করেই ল লাখ লাখ টাকা নিজেই আত্মসাত করেছেন। একসঙ্গে ৬০ লাখ টাকা প্রকল্পের কাজ না করেই তিনি সম্পূর্ণ টাকা নিজের পকেটে ভরেছেন। এটা গুরুতর অপরাধ ও প্রতারণা।

ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, কাজ কিছু শেষ করা হয়েছে এবং কিছু কাজ চলমান রয়েছে। ক্ষুদ্র হস্তশিল্প প্রশিক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন আমরা ক্ষুদ্র হস্তশিল্প যুবকদের স্বাবলম্বী করতে অনেক কাজ করেছি। আপনাকে এসব তথ্য দেয় কারা। মশা নিধন যন্ত্রপাতি কেনাকাটা হয়েছে কি’না এবিষয়ে জানত চাইলে তিনি বলেন আপনি উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে জিজ্ঞেস করেন। কেনাকাটা না করা হলে সরকারি টাকা ফেরত দেয়া হবে।

ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মশা নিধনের কোন যন্ত্রপাতি এখনো কেনা হয়নি। বিতরণ হবে কিভাবে। আর উপজেলা অভ্যন্তরীণ বাসাবাড়ি ও রাস্তা মেরামত প্রকল্পের টাকা ইউএনওর নামে বিল পে-অর্ডার করে রাখা হয়েছে। এরমানে বিল উত্তোলন দেখানো হয়েছে। কিন্ত কোন কাজ তো করা হয়নি। অথচ দেখানো হয়েছে কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓