দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি.
নিখোঁজের দুই মাস পর অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক ঢাকার নবাবগঞ্জের বাসিন্দা রেহেনা পারভিন (৩৭) এর লাশ উদ্ধার করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় আমজাদ হোসেন (৬৪) ও পাপিয়া আক্তার (৩৬) নামে দুইজনকে আটক করা হয়। শুক্রবার দুপুরে নবাবগঞ্জ থানায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহাম্মদ মুঈদ এক প্রেস ব্রিফিং এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের বিষয় তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার জানান, গত দুইমাস আগে নিখোঁজের পর অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ ও হাইকমিশন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেহেনা পারভিনের অবস্থান সনাক্ত ও উদ্ধারে তথ্য চেয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে বার্তা পাঠান। এঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ রেহেনার মা আইরিন আক্তার বাদি হয়ে রেহেনার স্বামী আওলাদ হোসেনকে প্রধান আসামীকরে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার চারদিন পর দোহার সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে ও ওসি শাহ্জালাল এবং এসআই নূও খানসহ পুলিশের একটি চৌকশ দল অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মানিকগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় অভিযান পরিচালনা করে আমজাদ হোসেন (৬৪) ও পাপিয়া আক্তার (৩৬) নামে দুইজনকে আটক করে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা ও লাশ গুমের তথ্য অনুযায়ী আশুলিয়ার নয়ারহাট মৌনদিয়া চৌরপাড়া এলাকা থেকে নিখোঁজ রেহেনার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সুপার আরও জানান, মূলত রেহেনা ও তার স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিলো। চলতি বছরের ৬জুন রেহেনা তার ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে আসে। একই মাসে তার স্বামী দেশে এসে তার শশুরবাড়ি থেকে কৌশলে রেহেনাকে আশুলিয়া নিয়ে হত্যা করে অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় লাশ মাটি চাপা দিয়ে গুম করে অস্ট্রেলিয়া পালিয়ে যায়। এঘটনায় বাকি আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে লাশ উদ্ধারের পর নবাবগঞ্জ থানায় নিহতের পরিবারের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে পরিবেশ। জরিতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।