মোঃ সুমন, স্টার্ফ রিপোর্টার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শামীম আহমেদ নামের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথিকক্ষে তোফাজ্জল নামের এক যুবককে চোর সন্দেহে আটকে রেখে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকার দোহার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলরন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দোহার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলরন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা ২০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়পাড়া কলেজ থেকে কালেমা চত্তর (সাবেক রতন চত্তর) পর্যন্ত র্যালি করে প্রতিবাদ ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এ ধরনের ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনা দুটির বিষয়ে দ্রুততম সময়ের সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃতি দোষিদের আইনানুগ ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে একদল শিক্ষার্থী শামীম মোল্লা নামের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থীকে গত ১৫ জুলাই রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে আশুলিয়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আহত শামীম মোল্লাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর দিকে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথিকক্ষে আটকে রেখে রাতের খাবার খাওয়ায়ে একদল শিক্ষার্থীর দ্বারা দফায় দফায় পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ১৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবাদকারীরা বলেন, বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকাংশে উন্নতি সাধিত হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট তৎপর রয়েছে। এর ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ না করে হত্যার মতো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
প্রতিবাদকারীরা আরও বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শামীম আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তোফাজ্জল নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে এই হত্যা কান্ডের সাথে ২০১৮ সালের আবরাম ফাহাতের হত্যাকান্ডে স্পষ্ট মিল রয়েছে। যারা আবরাম ফাহাতকে হত্যা করেছিলো তাদেরই দোষরাই আজকে সাধারণ ছাত্র বেশে ক্যাম্পাসে তোফাজ্জল শামীমকে হত্যা করেছে।
দাবি উঠেছে এই ঘাপ্টি মারা সন্ত্রাসী খুনি সেই সাবেক ২০১৮ সালের ছাত্রলীগদের দোষর আজকে যারা ক্যাম্পারে হত্যা কান্ড চালিয়েছে জনতার সরকারের কাছে জনতার পক্ষ থেকে দাবি অপরাধিকের অতিদ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আলতায় এসে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে যাবে করে আকরাম তোফাজ্জল ও শামীমের মতোন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে।