1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
নবাবগঞ্জের হাসনাবাদে বাড়িতেই চলছে রমরমা দেহব্যবসা - এশিয়া বার্তা
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

নবাবগঞ্জের হাসনাবাদে বাড়িতেই চলছে রমরমা দেহব্যবসা

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৩০৯ বার পড়া হয়েছে

কাজী জোবায়ের আহমেদ.
ঢাকার নবাবগঞ্জের বান্দুরা ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুনীদের এনে রমরমা দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন লতা গমেজ নামে এক মহিলা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৫/৬ বছর ধরে সবাইকে ম্যানেজ করে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। অনুসন্ধানে জানা যায়, লতা গমেজের বাড়ির প্রধান গেইটে দায়িত্ব পালন করেন সুলতান নামে এক ব্যক্তি। বেশিরভাগ তার মাধ্যমেই সকল কার্যক্রম চালায় লতা গমেজ। অনেক ক্ষেত্রে অপরিচিত ফোন নাম্বার হলে রিসিভ করেন না। কৌশলে বা তাদের দলালদের কাউকে দিয়ে ফোন দিলে বাড়ির প্রধান গেইট খুলে ভেতরে নিয়ে যান সুলতান। সেখানে ৪/৫ জন তরুণীদের প্রদর্শণ করে অনৈতিক কাজে ঘন্টাব্যাপী সময় কাটানোর জন্য ৭০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয় কাস্টমারদের কাছ থেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কিছু নেতা ও পুলিশকে ম্যানেজ করে কর্মকাণ্ড চালাতো লতা গমেজ। সরকার পতনের কয়েকমাস আগে স্থানীয়দের তোপের মুখে বান্দুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসন অভিযানে গিয়ে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেন। পওে কিছুদিন গা ঢাকা দেয় লতা। সরকার পতনের পর ফের শুরু করেন একই কর্মকাণ্ড। খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায় দোহার নবাবগঞ্জের আশেপাশে ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি স্থান থেকে তরুণীদের দিয়ে অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনা করেন লতা গমেজ। এছাড়া যুবক যুবতীরাও ইচ্ছে করলে ঘন্টা অনুযায়ী ব্যক্তিগত সময় কাটাতে পারেন বলেও জানা যায়। অনুসন্ধানে এমন কিছু ছবি ও ভিডিও আসে প্রতিবেদকের হাতে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দারা জানান, লতার এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ এলাকার লোকজন। কেউ লজ্জায় আবার কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননা। তারা বলেন এভাবে চলতে থাকলে, শীঘ্রই দোহার নবাবগঞ্জের যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।
এবিষয়ে লতা গমেজের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন এসব কথা কে বলেছে? পরে তিনি প্রতিবেদকের সাথে দেখা করতে চান। এদিকে সুনির্দিষ্ট প্রমান থাকার পরেও তার বাড়িতে থাকা সকল কাজের সহযোগী সুলতান বলেন, তিনি এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না।
এবিষয়ে বান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রতন ডি’রোজারিও ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, লতা গমেজ এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে এমন খবরে ততকালীন ইউএনও লতাকে অফিসে ডেকে নেন। এছাড়া সামাজিক ভাবেও এটি নিয়ে আলোচনা হয়। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন লতা গমেজের অনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা বন্ধ ছিলো। যেহেতু আবার তিনি শুরু করেছেন এবিষয়ে প্রশাসনের সাথে কথা বলে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মমিনুল ইসলাম বলেন, নবাবগঞ্জে কোন অপরাধ কর্মকাণ্ড চলতে দেয়া হবে না। ঘটনার সত্যতা পেলে এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম বলেন, এমন কর্মকাণ্ড সমাজের জন্য ক্ষতিকর। শীঘ্রই এবিষয়ে তদন্ত করা হবে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓