কাজী জোবায়ের আহমেদ.
মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন পদ্মা নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত জেল জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ৪০ জনকে। এর পরেও থেমে নেই কিছু অসাধু জেলেরা। প্রতি রাতেই নামছেন ইলিশ শিকারে। এদের নিয়নন্ত্রণ করেন বড় একটি সিন্ডিকেট। উপজেলার মেঘুলা, মধুরচর, কাজীরচর, বিলাশপুর ও মাহমুদপুরে রয়েছে এমন সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এমন অভিযোগে অনুসন্ধানে বের হয়ে আাসে নানা তথ্য।
মেঘুলা মৎস সমিতি নামে একটি ভূয়া সমিতির পরিচয়ে সংগঠণের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে দ্বীন ইসলাম নামে একজন নৌকা প্রতি চাঁদা তোলেন ১৫শ’ টাকা। বৃহস্পতিবার জেলে পরিচয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি জানান ইলিশ শিকারে পদ্মায় নামতে হলে নৌকা প্রতি দিতে হবে এই টাকা। পুলিশে ধরলে নাম বললেই ছেড়ে দিবে। তিনি বলেন, পুলিশের কাছে এই তালিকা চলে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিলাশপুরের কুলছড়ি এলাকার খলিল মোল্লা,শহর মিনা ও রিপন খলিফাসহ আরও অনেকে এই সিন্ডিকেটে কাজ করেন।
এবিষয়ে খলিল মোল্লা অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি এর সাথে জরিত নই। প্রমান হলে শাস্তি মাথা পেতে নেব।
কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁিড়র ইনচার্জ নূর-আলম জানান, নিষেধাজ্ঞার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনের সাথে নিরলস কাজ করছে নৌ পুলিশ। কেউ পুলিশের নাম ব্যবহার করে চাঁদা নিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কোন নৌ পুলিশ সদস্য জরিত থাকলে তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপারে দোহার উপজেলা মৎস অফিসার শিরিন সুলতানা মুন্নী বলেন, আমরা দিনরাত অভিযান পরিচালনা করছি। যারা চাঁদা তুলে জেলেদের পদ্মায় ইলিশ শিকারে পাঠায় প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।