দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি.
ঢাকার নবাবগঞ্জে বৈধ কাগজ ছাড়া চলছে মা ও শিশু ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ডাক্তার না হয়ে রোগী দেখেন সানী বিপুল নামে এক ব্যক্তি। এমন অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে সরজমিনে উপজেলার সোনবাজু বেড়িবাধ এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতরেই একটি চেম্বার খুলে প্রতিষ্ঠানে টাকার বিনিময়ে রোগী দেখেন বিপুল। এসময় একটি প্রেসক্রিপশন আসে প্রতিবেদকের হাতে। প্রেসক্রিপশনে ডাক্তার লেখা না থাকলেও সানী বিপুলের ফেজবুক আইডিতে নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রভাবিত করেন রোগী ও সাধারণ মানুষকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩ সালে দোহারের কার্তিকপুরে অনুমোদনহীন একটি ডায়াগনস্টিকে রোগী দেখার অপরাধে প্রতিষ্ঠান সীলগালা করেন ততকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় বেশকিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর ঢাকার নবাবগঞ্জে সানী বিপুল খুলে বসেন আরও একটি প্রতিষ্ঠান।
তার কাছে লাইসেন্স এর কপি দেখতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের একটি লাইসেন্স কপি দেন তিনি। যেই কপিতে উল্লেখিত বারকোড স্ক্যান করলে তথ্য গড়মিল পাওয়া যায়। কপিতে উল্লেখিত মালিকানার নামেও নেই তার নাম। নবাবগঞ্জে সরকারি তালিকায় এই নামে কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তথ্য পাওয়া যায়নি। সানী বিপুলের কাছে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ছাড়পত্র ও ফায়ার সার্ভিসের সার্টিফিকেট চাইলে তিনি কোন কাগজই দেখাতে পারেননি। বারকোডে তথ্য গড়মিল বিষয় জানতে চাইলে নবাবগঞ্জের স্যানিটারী অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় সকল প্রকার শর্ত মেনে বৈধ কাগজের নিমিত্তে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও বিএমডিসির অনুমোদিত ডাক্তারের নিয়োগপত্র ও লাইসেন্স কপি হালনাগাদ রাখতে হবে। এছাড়া প্রজ্ঞাপনের ৩ নং অনুচ্ছেদে বলা হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শর্তের বাইরে অন্য কোন সেবা প্রদান করা যাবে না।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এস এম শাখাওয়াাত হোসেন বলেন, এমন ঘটনার বিষয়ে কোন তথ্য জানা নেই। আইনের বহির্ভূতভাবে কেউ চিকিৎসাসেবা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এব্যাপরে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আক্তার বলেন, চিকিৎসা সেবা নিয়ে কেউ মানুষের সাথে প্রতারনা করলে জরিতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সকল প্রকার বৈধ কাগজ ছাড়া কেউ যদি ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করেন তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।