1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
বাগমারা বাজার বনিক সমিতির নির্বাচনঃ কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট গ্রহণ ও গণনার দাবি - এশিয়া বার্তা
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

বাগমারা বাজার বনিক সমিতির নির্বাচনঃ কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট গ্রহণ ও গণনার দাবি

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ২৭০ বার পড়া হয়েছে

দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি.

ঢাকার নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বাগমারা বাজার বনিক সমিতির নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচন ও ভোটগণনার দাবি জানিয়েছে পরাজিত একাধিক প্রার্থী৷ এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা।

জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বাগমারা বাজার বনিক সমিতির নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ এমন অভিযোগ তুলে পুননির্বাচনে দাবিতে ২৬ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলেন নির্বাচনে পরাজিত পাঁচ প্রার্থী আলমগীর হোসেন (সভাপতি পদে), আব্দুল হাফিজ সেন্টু (সাধারণ সম্পাদক পদে), সজল খান (সাধারণ সম্পাদক পদে) ও সাইদুল ইসলাম (সাংগঠনিক সম্পাদক পদে)।

তাদের অভিযোগ, ভোট গণনার আগেই পোলিং এজেন্টদের জোরপূর্বক স্বাক্ষর গ্রহন, ভোট শেষ হওয়ার আগেই পৌনে ২টা আম প্রতীকেট প্রার্থীর সাউন্ড সিস্টেম পিক আপ গাড়ি প্রস্তত রাখা, আম প্রতীকের প্রার্থীর ছোট ভাই ইমরান হোসেন ২ ঘন্টা ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করা সহ নানা বিষয়ে তাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ মনে হয়েছে। তাই তারা পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন

একইদিন পুনরায় ভোটগণনার দাবি জানিয়ে ইউএনওর বরাবর আরেকটি স্মারকলিপি দিয়েছেন সাংগঠনিক সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী সাইদুল ইসলাম। তিনি লিখিত অভিযোগ করে বলেন, বাগমারা নির্বাচনে মোট ভোট পরেছিল ৫৭৪টি। এরমধ্যে সাংগঠনিক পদে বিজয়ী প্রার্থী খোরশেদ খানকে ২৫১ ভোট ও তাকে ২১১ ভোট দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, গণনা করে দেখা যায় আমাদেট দুইজনের ভোট মিলে মোট ভোট হয় ৪৬২টি৷ তাহলে বাকি ১১২ টি ভোট কোথায় গেল। এ ১১২ টি ভোটের হিসাব পাইনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাই পুন নির্বাচন বা পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানান তিনি।

প্রার্থীরা আরো অভিযোগ করেন বলেন, মাত্র ৫৮৩ জন ভোটার৷ এ কয়টা ভোট গুনতে তারা ৪ঘন্টার বেশি সময় নিয়েছে৷ আসলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। তারা যোগসাজশে একটি প্যানেলকে বিজয়ী করতে কাজ করেছেন। এসময় তারা নির্বাচনের আহবায়ক মো. আইয়ুব আলীর সমালোচনা করে বলেন, তিনি বাজারের ভোটার না তবুও কিভাবে আহবায়ক হলেন এটা আমাদের বোধগম্য নয়। নির্বাচনে পর আমরা জানতে পেরেছি আইয়ুব আলী ভোটার নয়।

তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে অশগ্রহণকারী খোরশেদ খান, মুকুলসহ আরো কিছু প্রার্থী সকাল থেকেই মাঠে ছিলেন না। তারা অবশ্যই সিউর ছিলেন তারা বিজয়ী। তাই তারা নিশ্চিন্তে বসে ছিলেন। এতসব অভিযোগে কারনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে মনে করেন তারা

আইয়ুব আলী বলেন, আমি ভোটার নয়। ব্যবসায়ীরা চেয়েছেন তাই আমি আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছি। ভোটার না হয়েও আহবায়ক হওয়ার সুযোগ আছে কি না এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ভোটাররাই আমাকে আহবায়ক করেছে৷

সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়ে নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এ মর্মে সবার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। সকলের সামনেই ভোটগণনা হয়েছে। পরবর্তীতে কি করনীয় এটা ইউএনও স্যার নির্ধারণ করবে।

এবিষয়ে উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রির্পোট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓