দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় নির্বিচারে ফসলি জমির মাটি বাণিজ্য করছে ডালিম-রবিউল চক্র। ফসলি জমির মাটিকাটা বন্ধে জেলা প্রশাসক, নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) বরাবর গ্রামবাসীর লিখিত অভিযোগের পরেও বন্ধ হচ্ছেনা মাটি বাণিজ্য। জানা গেছে, গত বছরের ২৪ নভেম্বর বায়রা ইউনিয়নের গেরাদিয়া পূর্ব পাড়া এলাকার ৪০ জনের অধিক গ্রামবাসী মাটি বাণিজ্য বন্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গাড়াদিয়া এলাকার জহুরুদ্দিনের ছেলে ভূমিদস্যু ডালিম, হালিম ও মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম কৃষকদেরকে হুমকি-ধামকি, লোভ ও ভয় দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বায়রা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া এলাকার ১নং ওয়ার্ডের মোকসেদের বাড়ি সংলগ্ন কাচিগাড়ার চকে দু’টি এক্সকেভেটর (ভেকু) দাড়িয়ে আছে। পাশের কয়েক বিঘাজুড়ে ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুরে রুপান্তর করা হচ্ছে। এসব মাটি পরিবহনের জন্য ফসলি জমির উপর দিয়ে ট্রাক চলাচলের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, রাত হলেই ভূমিদস্যরা মাটি কেটে ইটভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে। ভেকু ও ট্রাকের বিকট শব্দে রাতে ঘুমানো যায়না। ডিসি, ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়নি। উল্টো ভূমিদস্যরা প্রতিনিয়ত আমাদেরকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন অসহায় হয়ে গেছি। প্রতিকারের আশায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে এখন নিজেরাই বিপদে আছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডালিম ও রবিউলের সাথে কথা হলে তারা পুকুর কাটার অনুমতি পেয়েছে বলে জানায়। অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে পরে দেখাবে বলে একাধিকদিন কালক্ষেপণ করেও অনুমতি দেখাতে পারেনি। এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, মাটি কাটার খবর পেয়ে এ্যাসিল্যান্ডকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ওখানে যেন আর মাটি না কাটে সে জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেটাই নেওয়া হবে।