দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি.
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের কম আকারের ইলিশকে ‘জাটকা’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আকারের ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞা ভাঙলে হতে পারে জেল-জরিমানা। এর তোয়াক্কা না করে অবাধে জাটকা বিক্রি করছেন ঢাকার দোহার উপজেলার আরতদার ও জেলেরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি মাছবাজারেই প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে চার ইঞ্চি আকারের জাটকা ইলিশ। প্রায় এক মাস ধরে উপজেলার মেঘুলা ও মৈনটঘাটের আরৎগুলোতে জেলেদের কাছে জাটকা বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জাটকা বিক্রি বন্ধে বাজারগুলোতে মৎস্য অফিস ও প্রশাসনের তদারকি নেই। তাই জেলেরা শিকার করে প্রকাশ্যেই এসব জাটকা হাটবাজারে এনে বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত জাটকা বিক্রি হচ্ছে উপজেলার নারিশা, হলের বাজার, দোহার বাজার, ইউসুফপুর বাজার, পালামগঞ্জ, বিলাসপুর ও বাংলাবাজারের মাছবাজারে।
নদী থেকে মাছ এনে ডালায় ঢেলে ডাক তোলেন আড়তদাররা। ডাকের মাধ্যমে মাছ কিনে বাজারে বসে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। বরফ দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে বিক্রি হচ্ছে এসব ইলিশ।
স্থানীয়রা বলেন, প্রশাসন যদি জাটকা শিকার বন্ধ করে দিতে পারে, তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।
এবিষয়ে দোহার উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. রফিকুল আলম বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। বাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়েছি কিন্তু আমাদের লোকবল কম থাকায় পুরো উপজেলায় মনিটরিং সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, মৎস কর্মকর্তা ছুটিতে আছেনঅ আসলে আবারও অভিযান হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে এবং তা বহাল থাকবে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। এই আট মাস জাটকা আহরণ, ক্রয়, বিক্রয়, মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে বড় আকারের ইলিশ ধরতে কোনো বাধা নেই।