নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি .
ঢাকার নবাবগঞ্জে ক্রয়কৃত জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তাভোগী সোনাহাজরা গ্রামের আব্দুল জলিল। বুধবার সকালে নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলামের নেতৃত্বে রাতের আধারে তাদের জমি জবরদখল করেছে প্রশাসন। লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জলিল বলেন, গালিমপুর মৌজার আরএস ১৬২৫ নং খতিয়ানভুক্ত আরএস ৩২৯৪ ও ৩২৯৫নং দাগে মোট ৫.২৫ শতাংশ জমি আমি ৯/৭/১৯৯১ তারিখে রেজিষ্ট্রীকৃত ২৭৮৪নং ও ২২/৪/২০১২ তারিখে ২৯৭১নং দুইখন্ড দলিল মূলে ক্রয় করে মালিক হইয়া ভোগদখলে আছি। এছাড়া আমি উক্ত জমি নামজারি করে হালনাগাদ খাজনাও পরিশোধ করেছি। আমার জমি পাশে গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ। তারা আমার জমি দখল করতে পারে এধারনা করে আমি আদালতে মামলার করলে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম গত ৮ ফেব্রুয়ারী রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে আমার ঘর ভেঙে আমাদের ইট, বালু, সিমেন্ট ব্যবহার করে নিজেরা আবার প্রাচীর নির্মাণ করেন। এসময় আব্দুল জলিল বলেন, ৩০ বছর ধরে আমি দখলে আছি৷ ওখানে ইউনিয়ন পরিষদের কোন জমিও নেই। যদি এটা ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা হয় তাহলে তারা দিনের বেলা জমিটি দখল করলো না কেন। রাতে আধারে এসে জমি দখল করতে পায়তারা করতো না। আমি নিজের জমি ফেরত চাই৷ এব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম বলেন, ঐটা ইউনিয়ন পরিষদের জমি। যারা অভিযোগ করেছে তারাই রাতের আধারে ঘর তুলে জমিটি দখলের চেস্টা করেছিল। তাই সরকারী সম্পত্তি রক্ষার্থে অভিযান চালিয়ে ঘরটি উচ্ছেদ করেছি। যারা সম্পত্তি দাবি করছে তারা এসিল্যান্ডের বরাবর আবেদন করলে কাগজপত্র দেখে তাদের সম্পত্তি মেপে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, জলিলদের একাধিক বার কল দিলেও তারা কর্নপাত করেনি।