1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি, দোহারে পদ্মায় মহোৎসবে বালু লুট - এশিয়া বার্তা
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি, দোহারে পদ্মায় মহোৎসবে বালু লুট

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি.
ঢাকার দোহারের পদ্মা নদীতে রাত হলেই প্রায় ৭ থেকে ৮টি কাটার দিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। এতে চরম ক্ষতিগ্রস্থের শঙ্কায় মেঘুলা, নারিশা ও মুকুসুদপুর এলাকার বেড়িবাধ। ফলে আতঙ্কে রয়েছে পদ্মাপারের হাজারও বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি চঞ্চল মোল্লা ও মাসুদ মোল্লাসহ আরও বেশ কয়েকজনের নেতৃত্বে চলছে এই বালু উত্তলন। এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পদ্মাপারের মানুষ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনের বেলায় মেঘুলার পদ্মার তীরবর্তী নিরাপদ এলাকায় রাখা হয় বালু উত্তলনের কাটার। এছাড়া শ্রীনগরের সীমানার তীরেও দুটি কাটার রাখা হয়। যেগুলো রাত হলেই প্রবেশ করে দোহারের সীমানায়। রাত ১১ টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত উত্তলন করা হয় বালু।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, নারিশা ও মুকসুদপুর পদ্মা তীর রক্ষা বাঁধ বরাবর এলাকায় প্রতিরাতেই বালু উত্তোলন করা হয়। এসব বালু বাল্কহেডে করে দোহারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছে প্রভাবশালী চক্র। চাহিদা বেশি হওয়ায় প্রভাবশালী মহলটি বালু বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দোহারে একটি নৌ পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও এর ১০ কিলোমিটারের মধ্যে চলে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। ফাঁড়িটির নীরব ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
মুকসুদপুরের পদ্মাপারের বাসিন্দা রবিউল হোসেন জানান, রাত হলেই ড্রেজারের মাটি কাটার শব্দে ঘুম ভাঙ্গে। তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে যারা পদ্মায় বালু কেটেছে তারাই মিলে মিশে আবার শুরু করেছেন। তাহলে এদেশে আন্দোলন করে কি লাভ হলো।
মেঘুলা এলাকার ৫৫ বছরের এক বৃদ্ধ সবিরন বিবি বলেন, মাটি কাটার শব্দে ঘরে থাকা যায়না। এই পদ্মা এক সময় কি ছিলো এই মাটি কাটার কারনে এখন কি হইয়া গেছে। তিনি আকুতি জানিয়ে বলেন, বাবা তোমরা কিছু করো, আমরাতো ভয়ে বলতে পারিনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারিশা পদ্মাপারের বাসিন্দা পদ্মা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী বলেন, আমাদের পদ্মার বাধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আওয়ামীলীগ সরকারের কিছু বালু ব্যবসায়ীদের কারনে। গত বছরের ৫ আগষ্টের পর কয়েকমাস বন্ধ ছিলো বালু উত্তলন। এখন আবার শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন ও নৌ-পুলিশ থাকাকালীন কিভাবে বালু কাটা হয়। তিনি আরও বলেন, এখনই যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে দোহারের মানচিত্র একদিন বিলীন হয়ে যাবে।
এদিকে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চঞ্চল মোল্লা মোল্লার মোবাইলে একাধিক ফোন দিলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে দোহারের তীরবর্তী অপর দুটি ড্রজারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বক্তব্য নিতে গেলে ড্রেজারের ভেতরে থাকা শ্রমিকরা সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
চর মাহমুদপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.নূরআলম বলেন, পদ্মায় বালু উত্তলনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। সত্যতা পেলে শীঘ্রই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়ে অভিযান করা হবে।
এবিষয়ে দোহার উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তাসফিক সিগবাদ উল্লাহ বলেন, বিষয়টি জানা ছিলো না। পদ্মায় যারা অবৈধভাবে কাটার দিয়ে বালু উত্তলন করবে তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓