1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারের বিরুদ্ধে ডিউটি ফাঁকির অভিযোগ - এশিয়া বার্তা
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১২ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ডাক্তারের বিরুদ্ধে ডিউটি ফাঁকির অভিযোগ

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডাক্তার ইফতেকার আলমের বিরুদ্ধে ডিউটি ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। সপ্তাহে ৬ দিন উপস্থিত থেকে রোগী সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন (সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার) অফিস করেন। বাকি ৩ দিন তিনি অনুপস্থিত থাকেন। এতে করে রোগীরা চিকিৎসা সেবা ও ইকো টেস্ট থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই প্রতি সপ্তাহে তিন দিন ডিউটি ফাঁকি দিয়ে আসছেন কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার ইফতেকার আলম।  হাসপাতালে তাকে দিয়ে ২০০ টাকায় ইকো টেস্ট করা গেলেও, বাইরে এই টেস্ট করাতে ১৪০০ টাকা খরচ হয়। জটিল অপারেশন ও হার্টের বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের জন্য ইকো টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তারের অনুপস্থিতির কারণে অনেক রোগী এই জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এক মাস ধরে অনুসন্ধানের পর এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।  সরেজমিনে বুধবার ইকো টেস্ট রুমটি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। হৃদরোগ বিভাগের ২১১ নং কক্ষের সামনে রোগীদের ভির দেখা যায়। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে হাসপাতালে ডাক্তার ইফতেকার আলমের দেখা পাওয়া যায়নি। এসময় এসময় তার কক্ষে বসে থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. রিপন মিয়া বলেন আমি স্যারকে সহায়তা করি। স্যার সপ্তাহে তিন দিন (সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার) ঢাকা থেকে এসে অফিস করেন। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ডাক্তার নিয়মিত না আসায় তারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে, ইকো টেস্টের জন্য অনেক রোগী বাইরে যেতে বাধ্য হচ্ছে, যা তাদের জন্য বাড়তি আর্থিক চাপ সৃষ্টি করছে।   স্ক্র্যাচে ভর দিয়ে দাড়িয়ে থাকা সত্তোরোর্ধ তাহের আলী বলেন, দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর তার কক্ষের লোক জানালো ডাক্তার আজ আসবে না। এটা আমাদের মতো গরীব লোকদের সাথে একটা তামাশা করা হচ্ছে। দেওয়ান আমজাদ হোসেন (৩৯) বলেন, তিন দিন আগে এসেছিলাম তখন ডাক্তার ছিলনা। তার কক্ষে থাকা একজন বলল দুইদিন পরে আসেন। দু’দিন পরে এসেছি আজও ডাক্তার নাই। সামর্থ্য থাকলে আমরা প্রাইভেটে ডাক্তার দেখাতাম সরকারি হাসপাতালে আসতাম না। জিল্লুর রহমান (৬২) বলেন, মেডিসিন ডাক্তার দেখিয়েছি। সেই ডাক্তার হার্টের সমস্যার জন্য ২১১ নং কক্ষে রেফার করেছে। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে দাড়িয়ে আছি ডাক্তার নাই। মনিরা আক্তার (৪৫) বলেন, বুক ধরফর করে এজন্য ডাক্তার দেখাতে এসেছি। কাউন্টার থেকে ২১১ নং কক্ষের টিকিট দিয়েছে। এসে দেখি ডাক্তার নাই। হাসপাতালে তো হৃদরোগের আর কোন ডাক্তার নাই। এখন আমার উপায় কি। জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান নেতৃত্বদানকারী রমজান মাহমুদ ও মেহরাব বলেন, ডাক্তার ইফতেকার সপ্তাহে তিন দিন ডিউটি করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা বলেন, অবশ্যই ডাক্তারকে নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত থেকে রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে করে তারা সঠিক সময়ে এবং কম খরচে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পান। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন বলেন, ডাক্তার ইফতেকার আলমের বিরুদ্ধে ডিউটি ফাঁকির অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে কার্ডিওলজি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার ইফতেকার আলমের কক্ষে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓