1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
মানিকগঞ্জে চাকরি ও ঘর বরাদ্দের নামে আ.লীগ নেতার অর্থ-আত্মসাৎ - এশিয়া বার্তা
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

মানিকগঞ্জে চাকরি ও ঘর বরাদ্দের নামে আ.লীগ নেতার অর্থ-আত্মসাৎ

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫
  • ২৮৭ বার পড়া হয়েছে

দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:

মানিকগঞ্জে চাকরি, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ও সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু মিয়া ও তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ও সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, পতিত স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বাচ্চু মিয়া দিনমজুরি ও রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায়। তিনি ও তার ছেলে বালুমহাল, সরকারি চাকরি, বিভিন্ন দপ্তরে দেনদরবার, প্রতারণা ও সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত হয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। পশ্চিম দশড়া এলাকায় তাদের ভাঙা দোচালা বাড়িটি বর্তমানে পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ২তলার ছাদ সম্পন্ন করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে দল সংশ্লিষ্ট সবাই আত্মগোপনে থাকলেও বাড়িতেই অবস্থান করছেন বাচ্চু ও তার ছেলে মিলন।  ভুক্তভোগী রহিম বাদশা বলেন, তিন বছর আগে তাকে ও তার ভাগ্নে দেলোয়ারকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাচ্চু মিয়া ও তার ছেলে মিলন ১০ লাখ টাকা চুক্তি করেন। দুই মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দুই দফায় ৬ লাখ টাকা নেন। বাকি ৪ লাখ টাকা চাকরি হওয়ার পরে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুই মাস পেরিয়ে গেলেও তারা চাকরি দিতে পারেননি। টাকা ফেরত পেতে তার বাড়িতে গেলে তারা রহিমকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। “আমার ফার্মেসি বিক্রি করে তাদেরকে টাকা দিয়েছি। আমি বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমার বাবা এই চাকরির শোকে ঘরে পরে গেছে,” যোগ করেন রহিম। একই অভিযোগ করেছেন শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া চরের সাইজুদ্দিনের ছেলে সকিম এবং সদর উপজেলার পারমত্ত এলাকার টুকু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন। তাদের অভিযোগ, বাচ্চু মিয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে সকিমের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা এবং সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা বলে আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তারা আশ্রয়নের ঘর বা সরকারি অনুদান কিছুই পাননি। টাকা চাইতে গেলে বাচ্চু মিয়া ও তার ছেলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাচ্চু মিয়া বলেন, “রহিমের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ও তার ভাগ্নে দেলোয়ারের কাছ থেকে ৩৩ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। আমার ছেলে টাকাগুলো ফেরত দিয়ে দেবে।” মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন, আমি বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত। এক সময় বেউথা বালুমহাল দেখাশোনা করতাম। এখন আমাদের সময় খারাপ। আমার বাবার সঙ্গে তাদের লেনদেন হয়েছে। আমাকে ১ মাস সময় দিলে টাকাগুলো ফেরত দিয়ে দেব। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓