স্টাফ রিপোর্টারঃ
বছরের মার্চ টু জুন বজ্রপাতের মৌসুম। এ সময় সবচাইতে বেশি বজ্রপাত হয়। দেশে প্রতিবছর গড়ে প্রায় তিনশত মানুষ বজ্রপাতের মারা যায়। আর বজ্রপাতে মারা যাওয়াদের বেশির ভাগই কৃষক। এসব তথ্য উঠে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের( এসএসটিএফ)এক গবেষণা প্রতিবেদনে। চলতি বছরের গত ২৮ এপ্রিল একদিনে বজ্রপাতে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ১৯ জনে কৃষক।
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সংগঠনটি মাঠে মাঠে কাজ করা কৃষকদের সচেতনতমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সংগঠনটির সভাপতি ডক্টর কবিরুল বাশাল বলেন বলেন, বজ্রপাত মোকাবেলা করার কোনো সুযোগ নেই। তবে একটু সচেতন হলে জান মাল রক্ষা করা অনেকটা সম্ভব।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা বলেন, আমরা বজ্রপাত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় কৃষকদের মাঝে সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করছি। কমষকদের বজ্রপাত থেকে বাঁচতে ১০টি কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছি। তবে সচেতনতা মূলক এই কার্যক্রম যথেষ্ট নয়। প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম হচ্ছে। এজন্য সরকার ও স্বেচ্ছাসেবীদের আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এসএসটিএফ’র ১০ পরামর্শ হচ্ছে –
১.মার্চ টু জুন বজ্রপাতের মৌসুম। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে অবস্থান করুন। কারণ এ সময় বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২. মাঠে থাকলে বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। না পাওয়া গেলে কোন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করুন।
৩. বৃষ্টির সময় গাছের নিচে আশ্রয় গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।
৪. বৈদ্যুতিক খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকেও দূরে থাকুন।
৫. আকাশে কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে নিরাপদস্থানে আশ্রয় গ্রহণ করুন।
৬. বৃষ্টির সময় ছেলে মেয়েদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
৭. বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকলে কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
৮. বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।
৯. বৃষ্টির সময় ঘাস কাটা, গরু আনতে যাওয়া ও শিশুদের আম কুড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলুন।
১০. ছাদে বৃষ্টিতে ভিজে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকা যাবে না। ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।