1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
দোহারে রাস্তা ও সরকারী সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ - এশিয়া বার্তা
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

দোহারে রাস্তা ও সরকারী সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি.
ঢাকার দোহারে ২০টি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ ও সরকারী সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হওয়ায় পারিবারিক ও সাংসারিক কাজে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে পরিবারগুলো। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা সেখানে বসবাস করছেন। এছাড়া খ খতিয়ানভুক্ত একটি জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে সেখান দিয়েই তারা চলাচল করছেন। কিন্ত সম্প্রতি নবাবগঞ্জ উপজেলার মাঝপাড়া এলাকার মোসাম্মৎ শাহিদা ওরফে চন্দ্র নামে একজন জমিটি নিজের বলে দাবি করে রাস্তা বন্ধ করে সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। মোসাম্মৎ শাহিদা ওরফে চন্দ্র ভূয়া দলিলের বলে খারিজ করে সম্পত্তি দখল করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তাভোগীদের।
কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, দোহার উপজেলার বড় ইকরাশি মৌজাস্থিত সিএস ১৯৬নং, এস,এ ২৮০নং এবং আরএস ২৯১নং খতিয়ানভুক্ত সিএস ও এসএ ৫৫৬নং এবং আর ৭৩৫নং ও ৭৩৬নং দাগের ৪৬ শতাংশ সম্পত্তি সিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ডীয় মালিক স্থানীয় ছনু গায়েন গোমেজ। তবে আরএস রেকর্ডে ছনু গায়েন গোমেজর নাম থাকলেও সেখানে হাল সাং ভারত পক্ষে বাংলাদেশ সরকার লেখা হয়েছে। ২০২১ সালে নবাবগঞ্জের মাঝপাড়া গ্রামের শাহিদা বেগম খরিদসূত্রে নিজেকে মালিক দেখিয়ে উক্ত আরএস ৭৩৫ ও ৭৩৬ দাগ থেকে ২৫ শতাংশ জমি নিজের নামে নামজারি করে নেন ( নামজারী ও জমাভাগ কেস নং- ঊ(শ)-৩৬০৭/২০-২১, তারিখ- ৩০/৬/২০২১ খ্রিঃ, তারিখ- ৩০/৬/২০২১)।
শাহিদার বেগমের খারিজের নথি থেকে জানা যায়, ইকরাশি গ্রামের শেখ জামাল বিগত ১৭/৪/১৯৩৫ তারিখে ৩৫৯২নং দলিল মূলে সিএস রেকর্ডীয় মালিক ছনু গায়েন গমেজের নিকট থেকে সিএস ৫৬৬নং দাগের ২৫ শতাংশ ক্রয় করেন। পরবর্তীতে জামাল বেপারী ১৫/৯/১৯৪৩ সালে ১০৩৭৪নং দলিল দ্বারা উক্ত দাগের ২৫ শতাংশ জমি স্থানীয় সদু বেপারীর নিকট বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে সদু বেপারী বিগত ২১/৮/১৯৬৯ সালে ১২০৯১নং দলিল দ্বারা ইকরাশির শাহেদা ওরফে চন্দ্র’র নিকট উক্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দেন। শাহেদা বেগম ২০২১ সালে এসে সেই দলিল মূলে নিজের নামে সিএস ৫৫৬ এবং আরএস ৭৩৫ ও ৭৩৬ দাগের ২৫ শতাংশ খারিজ করে নেন।
এরপর শাহিদা ওরফে চন্দ্র একাধিকবার জমিটি দখল করে ঘর নিমার্ণে চেস্টা করলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অন্যান্যদের কারনে পারেনি। তবে ৫ আগস্টের পর শাহেদা পুনরায় জোরপূর্বক জমিটি দখল করে নেন। তাদের ক্রয়কৃত ২৫ শতাংশসহ পুরো সম্পত্তিতে টিনের প্রাচীর নির্মাণ করে সরকারী সম্পত্তি দখল করার পাশাপাশি স্থানীয়দের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে প্রকাশ্যেই সেখানে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ করছেন।
প্রতিবেশি রওশন আরা বলেন, জমিটা সরকারি আমরা সবাই জানতাম। হঠাৎ কাগজপত্র নিয়ে এসে শাহেদার লোকজন জমি দখল করে নেন। তাদের কাগজপত্র সন্দেহ হলে আমরা প্রথমে ১৯৩৫ সালের দলিলটা জন্য ঢাকা সদর এসআর অফিসে তল্লাশী দিয়েছিলাম। কিন্ত কোন ভলিউমের রেকর্ডীয় তথ্যের মিল পাওয়া যায় নাই বলে রিপোর্ট দেন তল্লাশীকারক মাসুদুর রহমান। ঐ দলিল জাল হলে পরের দলিলগুলোর এমনেই বাতিল হয়ে যায়। রাস্তা ও সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর ১৬ এপ্রিল আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শাহিদা ওরফে চন্দ্র বলেন, আমি আমার ক্রয়কৃত জমিতে বালু ফেলে ঘর দিয়েছি। রাস্তার বিষয়ে বলেন রাস্তা অন্য দিকে আছে। অন্য কোথাও রাস্তা খুঁেজে পাওয়া যায়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনারা নিউজ করেন আমার কিছুই হবে না।
এবিষয়ে জানতে দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে একাধিক ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓