দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বরুনা এলাকায় সরকারি খাস জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ উকিল নামের এক ব্যক্তি সরকারি খাস জায়গা থেকে রাতের আঁধারে মাটি কেটে কাঁকড়া ট্রাক দিয়ে পাশে আরেকটি খাস জমিতে ফেলছেন। ইতোমধ্যে ওই জায়গাটিতে মাটি ফেলে ভরাটের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। মাটি ভরাটের জন্য মাঝিদের ধর্মীয় উপাসনালয়ের জায়গা থেকেও মাটি আনছেন বলে জানান গ্রামবাসী। উকিল হোসেন প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা এ বিষয়ে প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না। অভিযুক্ত মোহাম্মদ উকিল ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মুক্তার হোসেনের আপন ভাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে মুক্তার হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাইকে দিয়ে এসব অপকর্ম করাচ্ছেন। এ বিষয়ে ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মুক্তার হোসেন বলেন, মসজিদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতি নিয়েই আমার ভাই জমি ভরাট করছেন। ওই জায়গাটি দূরবর্তী একজন লোকের কাছ থেকে আমার ভাই কিনেছেন। অভিযুক্ত মো. উকিল হোসেন বলেন, খাস জায়গাটি আমার কেনা জমির পাশেই। সরকারের কখনো প্রয়োজন হলে আমি ছেড়ে দেব। এছাড়াও মসজিদ কমিটির সভাপতি সোনামিয়ার কাছ থেকে মাটি কাটার অনুমতি নিয়েছি।
বরুনা মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. সোনা মিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এক খাসের জায়গা থেকে মাটি কেটে অন্য জায়গায় ভরাটের বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি অনুমতি দেওয়ার কেউ নই। ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা কে এম ফিরোজ বলেন, যেখান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে, সেটি এস এ রেকর্ড মোতাবেক বন্দোবস্তের জায়গা। তবে যেখানে মাটি ফেলা হচ্ছে, তার কিছু অংশ খাস জমি। অনুমতি ছাড়া জমির শ্রেণী পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।