দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:

মানিকগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হরগজ গরুর হাটে প্রতিটি হাসিল থেকে আবারও ২শত টাকা বাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্রেতা বিক্রেতারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী এই হাটের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ ইউনিয়নে অবস্থিত এই হাটটি ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা ও তুলনামূলক কম হাসিলের কারণে পশু ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এর আগে গত রবিবার ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি পশু থেকে অতিরিক্ত ২শত টাকা আদায় করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে অতিরিক্ত ২শত টাকা কমিয়ে গত বুধবার ৩শত টাকা হারে হাসিল আদায় করা হয়। এরপর আজ বৃহস্পতিবার হাসিল প্রতি আবারও ২শত টাকা বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরগজ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী এই হাটটি নিয়ন্ত্রণ করেন হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান ও অভিভাবক সদস্য রুহুল আমিন।

অভিযোগ উঠেছে, বিদ্যালয়ের সভাপতির আদেশ অমান্য করে তাদের যোগসাজশেই ঐতিহ্যবাহী এই হাটের সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, পতিত স্বৈরাচারী সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ঘনিষ্ঠ, প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান স্বৈরাচারের দোসরদের নিয়ে বিগত সময়েও এ হাটটি নিয়ন্ত্রণ করতেন। একজন প্রধান শিক্ষকের এ হাটের সঙ্গে জড়িত হওয়া নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

এ বিষয়ে হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বজলুর রহমান এর আগে জানিয়েছিলেন, ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি হাসিল থেকে ২শত টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মো. রুহুল আমিন বলেন, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই ২শত টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, অভিভাবক সদস্য রুহুল আমিনকে ঈদ উপলক্ষে বাড়তি টাকা নিতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, নায়েব পাঠিয়ে খোঁজ নিচ্ছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।