নিজস্ব প্রতিনিধি.
ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছয়টি সিনেমার ভিড়ে আলোচিত নাম হয়ে উঠেছে শরীফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত ‘ইনসাফ’। মুক্তির আগে থেকেই দর্শকদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সিনেমাটি। সিনেমায় খলনায়ক মিশা সওদাগরের সহযোগী হিসেবে অভিনয় করেছেন দোহারের বিল্লাল মাহমুদ। ছবিতে সোনা মানিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মত বড় পর্দায় অভিনয় করলেন তিনি। এর আগে মধ্যবিত্ত সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন এ তরুন অভিনেতা।
দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়ের সাথে যুক্ত বিল্লাল মাহমুদ। শর্ট ফিল্ম ও একাধিক নাটকেরও এরআগে দেখা গেছে তাকে। তবে এবার ছোট পর্দার ছাড়িয়ে বড় পর্দায় নাম লেখালেন এ অভিনেতা ও নাট্যকার।
‘ইনসাফ’ সিনেমাটিতে পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় সমদ্দার। অভিনয়ে শরীফুল রাজ ছিলেন দুর্দান্ত। তার স্ক্রিন প্রেজেন্স অনবদ্য। ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরমেন্স করেছেন তিনি এই সিনেমায়। ফুলকপির বড়া খেয়ে বিদায় নেয়ার দৃশ্যে কিংবা বাবার কবরে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ার দৃশ্যগুলোয় তিনি অনবদ্য। নতুন লুকে তাসনিয়া ফারিণও দর্শকের মন জয় করতে পেরেছে। তিনি চেষ্টা করেছেন ভালো করার। তাকে পুলিশের রোলে ভালো মানিয়েছে। মিশা সওদাগর সাবলীল। ‘সৎ সঙ্গে সচেতন, অসৎ সঙ্গে নিকেতন’ এর মতো সংলাপ দিয়ে কমিক ভাইব দিয়েছেন। টাইগার রবি ডিআইজি মিজান চরিত্রে মেপে মেপে অভিনয় করেছেন। ফজলুর রহমান বাবু দারুণ। আর মোশাররফ করিম অনবদ্য। হারুনুর রশীদ বান্টি, আল মনসুর, ডনসহ বাকিরা নিজ নিজ রোলে ছিলেন মানানসই।
তবে ছবির ফল ইন অ্যাকশনে গিয়ে চঞ্চল চৌধুরীর দুর্দান্ত ক্যামিও দর্শককে ভীষণ চমকে দেবে। তিনি ছিলেন ভয়ংকর সুন্দর।
ছবিতে তিনটি গান ব্যবহৃত হয়েছে। ‘তোমার খেয়ালে’ গানটিতে রাজ ও ফারিনের কেমিস্ট্রি বেশ ভালো জমেছে। ‘ধামাকা’ গানে জেফার পারফর্ম করেছেন। আর আলোচিত ‘আকাশেতে লক্ষ তারা ২.০’ ছিলো ছবির একদম শেষে ক্রেডিট দেখানোর সময়। তবে পুরো ছবিতে ফারিণের চরিত্রটির যে গাম্ভীর্য ও ব্যক্তিত্ব, গানটি তার সাথে যায়নি। যদিও এটি আইটেম গান নয়, বিনোদনমূলক গান হিসেবেই দেয়া।
সবমিলিয়ে, ইনসাফ মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমা হিসেবে দর্শকের সাথে ‘ইনসাফ’ করতে পেরেছে। ভালো একটি গল্প ও বিনোদন- দুটোই পাওয়া যাবে এখানে।