দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের মেহগনি, রেইনট্রি কড়ইসহ ছয়টি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে অনুমতি ছাড়াই এসব গাছ বিক্রি করেছেন তিনি। জানা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের ৯৩নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক স্থানীয় গাছের ব্যাপারি সুূদিলের কাছে এই বিদ্যালয়ের ৬টি গাছ বিক্রি করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক প্রাথমিকভাবে একটি মেহগনি ও একটি কড়ই গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি দাবি করেন, প্রায় ২০ বছরের পুরোনো দুটি গাছ মাত্র ২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে নতুন বাউন্ডারি সংলগ্ন চারটি এবং পশ্চিম-দক্ষিণ পাশের বাউন্ডারির ভেতরে দুটি কাটা গাছের গোড়া রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক এই গাছগুলো বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাছ বিক্রির জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো আবেদন করা হয়নি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নেওয়া হয়নি।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে দুটি গাছ বিক্রি করেছি। সে অনুমতি না দিলে বিক্রি করতাম না। গাছ বিক্রির ২হাজার টাকা চেয়ার কেনার জন্য রেখে দিয়েছি। তবে কার কাছে গাছ বিক্রি করেছেন সেই বিষয়টি তিনি বলেননি। গাছের ক্রেতা সুদিল ব্যাপারী জানান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক নবীনগরের একজন গাছ ব্যবসায়ীর কাছে কয়েকটি গাছ বিক্রি করেছেন। আমি তার কাছ থেকে লাকড়ি কিনেছি। আমার নিয়মিত শ্রমিকেরা গাছগুলো কেটে দিয়েছে। এজন্য আমিই গাছ কিনেছি বলি স্থানীয়রা সন্দেহ করছেন। তবে সেই ব্যাপারী কে, তার নাম ও পরিচয় তিনি বলতে পারেননি।
ধামশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী বলেন, লোকমুখে শুনেছি প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। ২০ বছরের পুরাতন গাছ মাত্র ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এটা অবিশ্বাস্য।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর প্রধান শিক্ষককে ডেকেছিলাম। সে দুটি গাছ মাত্র ২ হাজার টাকায় বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন। তবে আরও কোনো গাছ কাটা হয়েছে কিনা, তা বলতে পারবোনা। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরও জানান, ওই শিক্ষক কোনো অনিয়ম করে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।