দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:
নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগে দৌলতপুর উপজেলার ৯৩ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কর্ম দিবসের মধ্যে শোকজের জবাব ও সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। “মানিকগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগ” শিরোনামে গত ৭ জুলাই “এশিয়া বার্তা” পত্রিকার অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর গত বুধবার (৯ জুলাই) দৌলতপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ এই নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক বিদ্যালয়ের মেহগনি, রেইনট্রি ও কড়ইসহ অন্তত ছয়টি গাছ বিক্রি করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রধান শিক্ষক প্রাথমিকভাবে একটি মেহগনি ও একটি কড়ই গাছ মাত্র ২ হাজার টাকায় বিক্রির কথা স্বীকার করেন।
তিনি দাবি করেন, এই দুটি গাছ প্রায় ২০ বছরের পুরোনো ছিল। বিক্রয়ের টাকা চেয়ার কেনার জন্য রাখা হয়েছে। তবে, তিনি কার কাছে গাছ বিক্রি করেছেন তা স্পষ্ট করে জানাননি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০ বছরের পুরাতন ছয়টি গাছ বিক্রি করে প্রধান শিক্ষক স্থানীয় এক নেতার ছত্রছায়ায় এসব টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ বলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাসহুদ করিমকে আহবায়ক করে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সেই সাথে প্রধান শিক্ষকেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিন কর্ম দিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।