নিজস্ব প্রতিনিধি.
পুলিশ পৌছার আগেই দই ধর্ষকের একজন কৌশলে ঘরের জানালা ভেঙ্গে পিছন দিয়ে পালিয়ে যায়। আরেকজনকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রæত পালিয়ে যাওয়া আসামীকে গ্রেপ্তার ও তাঁদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রোববার বিকেল ৪টায় নবাবগঞ্জ শহীদ মিনারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এর আগে স্থানীয় জনতা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা একটি মিছল নিয়ে সমসাবাদ থেকে থানার সামনে গিয়ে শহীদ মিনারে এসে শেষ করে।
উল্লেখ্য শনিবার রাতে নবাবগঞ্জে সদরের কাছে কিশোরী ধর্ষণের খবর পেয়ে দুইজনকে আপক করে স্থানয়ীরা। এসময় অভিযুক্ত আলী আকবর (৬০) কে পুলিশে দিয়েছে জনতা। কৌশলে পালিয়ে যায় আলমগীর হোসেন (৪০)। ধর্ষক দুজনই একই এলাকার। তারা পেশায় রিকসা শ্রমিক।
নবাবগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দ্রæত সময়ের মধ্যে কিশোরীকে ধর্ষণকারী আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাঁদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড দাবি করে প্রতিবাদী ছাত্রজনতা বলেন, নবাবগঞ্জের কোথায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তাঁকে জনতা প্রতিরোধ করবে। পুলিশের পাশাপাশি জনগণতে সোচ্চার হতে হবে। তাহলেই এ ধরনের ঘৃণ্যতম অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের পক্ষে শাকিল আহমেদ, মো. মোস্তফাসহ অনেকেই।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। বাকি আসামীকে গ্রেপ্তার পুলিশ তৎপর আছে। তবে সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ তাঁরা আসামী ধরতে সহযোগিতা করেছে।