দেওয়ান আবুল বাশার, প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ধলেশ্বরী ব্রিজ থেকে কাটিগ্রাম পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে এই রাস্তাটির নির্মাণকাজ করছে মেসার্স জুই এন্টারপ্রাইজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি শিডিউল বহির্ভূত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে, এতে রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাটির নির্মাণকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে নিম্নমানের উপকরণ। হাজিনগর-কসবা গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার অনুপযোগী ও কালো ঝামা খোয়া ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যে রাস্তার কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এতে ব্যবহার অনুপযোগী খোয়াগুলো আরো স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। রাস্তাটির প্যালাসেটিং ও গার্ডার নির্মাণে শিডিউল অনুযায়ী, রডের খাঁচার রিং ৬ ইঞ্চি পরপর লাগানোর কথা থাকলেও, বাস্তবে তা ১৩ থেকে ১৭ ইঞ্চি পরপর বসানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে রিংগুলো সঠিকভাবে রডের সঙ্গে বাঁধা হয়নি; শুধুমাত্র হালকা গুনা দিয়ে আলগাভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে, যা গার্ডারের কাঠামোকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে। এছাড়া গার্ডারের পিলারে অপর্যাপ্ত সিমেন্ট এবং ময়লা মিশ্রিত সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
দুই দিন সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এলজিইডির কোনো কর্মকর্তাকে নির্মাণকাজ তদারকি করতে দেখা যায়নি। সদর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, অন্য কাজে ব্যস্ত থাকার রাস্তার কাজের সময় থাকতে পারিনি।
জুই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নাঈম হোসেন বলেন, আগের রাস্তার খারাপ ইটগুলোই এই কাজে এস্টিমেটে ধরা আছে। প্যালাসেটিংয়ে যে অনিয়ম হয়েছিল, পরিদর্শকরা চলে যাওয়ার পর তা ঠিক করা হয়েছে। এ অনিয়মের বিষয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী রইসুল আরিফিন দ্রুত রাস্তাটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এলজিইডি মানিকগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এ বি এম খোরশেদ আলম বলেন, সোমবার জেলা অফিস থেকে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।