দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসেমের মো. মাসুম কয়েক বছর আগেও ছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারের এক সাধারণ যুবক। কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যবসা বা সম্পদ ছিল না তার। অথচ এখন তিনি কোটি টাকার মালিক—বাড়ি, জমি, মাছের প্রজেক্ট —সবই যেন রাতারাতি এসে গেছে তার জীবনে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই বিপুল সম্পদের পেছনে রয়েছে মাদক ব্যবসার অন্ধকার জগত। গত কয়েক বছরে মাসুমের আর্থিক অবস্থার হঠাৎ পরিবর্তন এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, আগে যিনি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন, তিনি এখন ৬ তলা ভবনের মালিক। রয়েছে একাধিক জমি ও একটি বড় মাছের প্রজেক্ট। তার স্ত্রী মুক্তার নামেও রয়েছে সম্পত্তি।
শনিবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাসনাবাদ এলাকার শিউলি আক্তারের বাড়িতে মাত্র ৮শ’ টাকা ভাড়া দিয়ে সারে চার বছর আগে ভাড়া থাকতেন মাসুম। এসময় তিন মাসের ভাড়া দিতে না পারায় দ্বন্দের সৃষ্টি হলে মাসুমকে বাসা ছেড়ে দিতে বলেন বাড়ির মালিক। স্থানীয়রা জানান, মোবাইল চুরির অভিযোগ থাকায় ঐ সময়ে অনেকেই তাকে বাসা ভাড়া দিতেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসনাবাদের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মাসুম এখন অনেক টাকার মালিক তাই টাকা দিয়ে সবাইকে ম্যানেজের চেষ্টা করেন। তারা বলেন, মাসুম যদি বিদেশে থেকে কোটি টাকার মালিক হয় তবে ৪ বছর আগে কেন বাসা ভাড়া দিতে পারেনি। তারা আরও অভিযোগ করেন মাসুমের স্ত্রীর নামেও রয়েছে সম্পত্তি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে তার রয়েছে সক্ষতা।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, মাসুমের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানাতেও তার নামে একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা আছে। কিন্তু রহস্যজনকভাবে প্রতিটি অভিযোগই কাগজে-কলমে থেকে যায়, কার্যকর পদক্ষেপ হয় না।
মিথ্যা মামলার ফাঁদে সাংবাদিকঃ
মাসুমের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও অবৈধ সম্পদের খবর প্রকাশ করলে প্রতিশোধ নিতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের দাবি—“এটা শুধু আমাকে ভয় দেখানো নয়, বরং ভবিষ্যতে কেউ যেন তার অপরাধ নিয়ে মুখ না খোলে, সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা।”
স্থানীয় সুশীল সমাজ ও সচেতন মহল বলছেন, বিষয়টি শুধু একজন সাংবাদিক বা একজন ব্যক্তির সমস্যা নয়। এটা গোটা সমাজের জন্য হুমকি। প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি—মাসুমের অবৈধ সম্পদ ও মাদক ব্যবসার তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
(চলবে… পরবর্তী পর্বে: “থানার নথিতে মাসুম”)