নিজস্ব প্রতিনিধি.
আত্মীয় পরিচয়ে দর্জি কাজ শেখানোর কথা বলে এক নববধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেছে দোকান মালিক। ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার একটি বাজারে গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধুর স্বামী ঘটনা জানতে এলে দোকান মালিক তাঁকে ধমক দিয়ে মারপিট করে। এসময় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে আটক করা হয়।
রোববার দুপুরে এ ঘটনায় নববধু মামলা করেন নবাবগঞ্জ থানায়। পরে ওই দর্জিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পুলিশ ও ভিকটিম পরিবার জানায়, আত্মীয়তার সুবাদের ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও এলাকার নববধূ দর্জি কাজ শিখতে যায় ওই দোকানে। পাশে একই মালিকের আরেকটি বোরকার দোকানে চাকুরী করে নববধুর স্বামী। কাজ শিখতে শুরু করার পর হতেই দর্জি দোকানের মালিক ওই যুবতীর দিকে খারাপ দৃষ্টিতে তাকায় এবং নানা ইঙ্গিত করে আসছে। বিষয়টি যুবতী কাউকে না বলেই কাজ করে চলেছে।
গত ৯ আগষ্ট শনিবার রাত ৯টার দিকে নববধু ওয়াশ রুমের কাছে গেলে পিছন থেকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে টানা হেঁচড়া করে। এসময় তাঁর পরণের পোশাক খুলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে সে দৌড়ে দোকানে এসে বোরকা নিয়ে দোকান হতে বের হয়ে কাঁদতে থাকে। ওই মার্কেটে তাঁর স্বামীর কাছে গিয়ে ঘটনা বলে। এরপর স্বামী স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন দোকান মালিককে বিষয়টি নিয়ে জানতে চায়। এসময় তাঁদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে দোকান মালিক নববধুর স্বামীকে মারপিট করে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দোকানীকে আটক করে। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে নববধু বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় ধর্ষন মামলা করে।
ওই বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা অবশ্যই নিন্দনীয় ঘটনা। তার বিষয়ে কমিটি বসে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবে। এটা শুধু তার নয়, বাজারের সুনাম ক্ষুন্ন করে। নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম বাদী হয়ে মামলা করেছে। আসামী আমিরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।