1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
দোহারে ঋণ পরিশোধ চলমান তবুও এনজিওর মামলা, ভোগান্তিতে নারী - এশিয়া বার্তা
বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

দোহারে ঋণ পরিশোধ চলমান তবুও এনজিওর মামলা, ভোগান্তিতে নারী

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৭ বার পড়া হয়েছে

দোহার প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহার উপজেলায় কিস্তি নিয়মিত পরিশোধের পরও হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছেন এক নারী ঋণগ্রহীতা। মামলার কারণে দেড় বছরের সন্তানকে রেখে  থানা হাজতে রাত কাটাতে হয় তাকে।
অভিযোগ উঠেছে, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বাকি টাকা আদায়ের জন্য এনজিও কর্তৃপক্ষ চেক মামলার আশ্রয় নিয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুসুমহাটি ইউনিয়নের কার্তিকপুর বাজারে অবস্থিত এনজিও ‘সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি’ (এসডিসি) থেকে ৪ লাখ টাকা ঋণ নেন। প্রবাসে থাকা স্বামীর ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে কয়েক মাস কিস্তি দিতে না পারলেও, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ শুরু করেন। গত ছয় মাসে তিনি ১ লাখ ৫০ হাজার ৯শ টাকা পরিশোধ করেন। বর্তমানে বাকি আছে ২ লাখ ১২ হাজার টাকা, যার মধ্যে সঞ্চয় আমানতও রয়েছে।
তার অভিযোগ, ঋণের মেয়াদ শেষ হতে এক মাস বাকি থাকতেই প্রতিষ্ঠানের জমা রাখা চেক দিয়ে মামলা করে শাখা ম্যানেজার। “গত মাসে ২০ হাজার, তার আগের মাসে ২৫ হাজার, এক মাসে ৪৩ হাজার টাকা দিয়েছি। আর কয়েক মাস দিলেই ঋণ শেষ হয়ে যেতো। তবুও মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করলো,” বলেন তিনি।
একই গ্রামের আরেক ঋণগ্রহীতা মাবিয়া বেগম অভিযোগ করেন, এসডিসি অফিস তার ঋণের বই অনেক আগে নিয়ে নেয় এবং বইয়ের কোনো হিসাব দেয় না। “ঋণের মেয়াদ শেষ হলেও প্রতিমাসে টাকা নিচ্ছে। তারপরও মামলা দিয়ে হয়রানি করছে,” দাবি করেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, এনজিও কর্মীরা রাতের বেলায়ও কিস্তির টাকা আদায়ে বাড়িতে যায়। অনেক সময় বাড়িতে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ না থাকলেও তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে এবং অশোভন আচরণ করে।
এ বিষয়ে এসডিসির কার্তিকপুর শাখার ম্যানেজার জয়েন্তু বিশ্বাস বলেন, “যেসব ঋণগ্রহীতা একেবারেই টাকা পরিশোধ করে না, তাদের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” তবে ছয় মাস ধরে নিয়মিত টাকা দিচ্ছেন—এমন ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধেও কেন মামলা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তিনি পুরো কিস্তি দিচ্ছিলেন না। এখনও দুই লাখ টাকার বেশি বাকি রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓