দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:
জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকার পতনের পর শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকী, শেখ ফজিলাতুন্নেসার ৯৪তম জন্মবার্ষিকী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন পালনের নামে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় মহিলা সংস্থা মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। সংস্থার মাঠ সমন্বয়কারী আব্দুস সাত্তার মুন্সী জেলা প্রশাসক ও মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, এ তিনটি দিবস পালনের জন্য সরকারি বাজেট থেকে ৩৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা হলেও কোনো অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়নি। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অর্থ আত্মসাতসহ আবু বক্কর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আরও নয়টি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন, স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক অনিয়ম। অভিযোগের স্বপক্ষে ব্যাংক এস্টিমেটসহ ১২টি প্রমাণপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়কারী রমজান মাহমুদ বলেন, “সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ‘জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে গাদ্দারির সামিল’। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।” অভিযোগকারী আব্দুস সাত্তার মুন্সী দাবি করেন, অফিসের একটি কক্ষ বাড়ানোর জন্য ৭৭হাজার টাক উত্তোলন করা হলেও সে টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। “আবু বকর সিদ্দিকী একজন আপাদমস্তক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। আগে তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে পার পেতেন। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। আমি ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।”
অভিযুক্ত নির্বাহী অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিকী (বজলু) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “যিনি অভিযোগ করেছেন, তার মাথায় সমস্যা আছে। অফিসের অন্যান্য খরচের সঙ্গে এই টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।” অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বে থাকা শহর সমাজসেবা অফিসার মেহেদী মাসুদ জানান, তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেওয়া হবে।