নিজস্ব প্রতিনিধি.
স্কুল থেকে ফিরে দুপুরে দোকানে ডিম কিনতে গেলে পাশের চায়ের দোকানী তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ডেকে নেয়। এসময় ভেতরে বসতে বলে দোকান মালিক আলমাছ। লোকজন না থাকায় পাশের একটি কক্ষে নিয়ে বালিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় সে চিৎকার দিলে হত্যার ভয় দেখানো হয়। এ ঘটনার ৪৮ঘন্টা পরে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা হলে ওই চায়ের দোকানদার আলমাছ(৫৮) কে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। শনিবার দুপুরে বাদীর এজাহার পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভিকটিম পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহষ্পতিবার দুপুরে উপজেলার শোল্লা এলাকার একটি গ্রামে চায়ের দোকানে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েটি শুক্রবার রাতে কান্না করলে তার মা জানতে চায় কি হয়েছে। তখন সে তার শরীরের বিশেষ অঙ্গে ব্যথা জ¦ালা পোড়া বলে মাকে জানায়। মেয়েটির মা তখন বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করলে সে সব খুলে বলে। শিশুটিকে এ কথা কাউকে বললে হত্যার হুমকি দেয়াতে সে প্রথম দিনে ঘটনাটি মাকে বলেনি। পরে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে কান্না করলে মা জেনে যায়। তখন প্রতিবেশী ও স্বজনদের সাথে পরামর্শ করে।
মেয়েটির মা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়াতে মামলা করতে কিছুটা ভয় পেয়েছি স্যার। পরে পুলিশের সহযোগিতা পেয়েছি। আপনারা সঠিক বিচার পাবো বলে আশা করি।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে মেয়েটির মা নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করলে ধষর্ণে অভিযুক্ত চায়ের দোকানদার আলমাছকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নবাবগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক রাজিবুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। ধর্ষণের সাথে জড়িত চায়ের দোকানীকে গ্রেপ্তার করে শনিবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।মেয়েটিকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।