নবাবগঞ্জ( ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় কলাকোপা গ্রামবাসীর উদ্যোগে এবং নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটি ও নবাবগঞ্জ রোইং ক্লাবের সহযোগিতায় ইছামতি নদীতে ঐতিহ্যের নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার কলাকোপা গ্রামবাসীর উদ্যেগে এ নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের ১০ টি নৌকা অংয় গ্রহন করে। নৌকাগুলো হলো ঢাকার নবাবগঞ্জের খান বাড়ি ও শেখ আব্দুল খালেক, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের মামা ভাগ্নে, ফরিদপুর সদরপুরের আদিল ফাইটার, মানিকগঞ্জের সোনার তরী, কৈলাইলের তুফান মেইল, ঢাকার নবাবগঞ্জের শিকদার বাড়ি ও লিটন-২। এছাড়া ৫/৭ টি কোষা নৌকা অংশ গ্রহণ করে। পরে বিজয়ীদের মধ্যে মোটর সাইকেল, ফ্রিজ ও টেলিভিশন প্রদান করা হয়।
এ সময় ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক প্রধান অতিথি ছিলেন। উদ্ধোধক ছিলেন বিএনপির সাধারন সন্পাদক খন্দকার আবুল কালাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন আবু শফিক খন্দকার মাসুদ, নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ইব্রাহিম আলম ভূইয়া, দোহার নবাবগঞ্জ পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো সেলিম মিয়া, নবাবগঞ্জ রোইং ক্লাবের সহ-সভাপতি ডা. হর গোবিন্দ সরকার অনুপ, নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা, ক্রীড়া সম্পাদক দুলাল দেওয়ান। , কলাকোপা নৌকা বাইচ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হাজী মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব, মো. নজরুল ইসলাম, মাহবুব আলী দেওয়ান অপু প্রমুখ।
নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশিমলা বলেন, নৌকা বাইচ বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের নবাবগঞ্জে নৌকা বাইচের গুড়াপত্তন হয়েছে। এক সময় এই উপজেলার ইছামতি নদীর ৩০ পয়েন্টে নৌকা বাইচ হত। কিন্তু বর্তমানে ইছামতি নদীর উৎপত্তিস্থল পদ্মা নদীর নিকটস্থ কাশিয়াখালি বেরিবাধ দেওয়ার কারণে নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি থাকছে না। আমরা ইাছামতী নদী আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে দোহারের কার্তিকপুর ও সোনাবাজু -কাঠিয়াখালী বেরিবাধে প্রয়োজনের সংখ্যক সুইচগেট স্থাপনের জোর দাবি করছি।