প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ৯:৪৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অগাস্ট ৩১, ২০২৫, ১০:৪২ পি.এম
নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধির মৃত্যু
নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি .
ঢাকার নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত মো. শাহাদাৎ হোসেন (৩৩) নামে এক ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধির মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৩১ আগষ্ট) ভোরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত শাহাদাৎ হোসেন রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আলীপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যালস এর নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা এলাকায় কর্মরত ছিলেন। এঘটনায় পর নিহতের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার সকালে ঢাকার অফিস থেকে মটর সাইকেল যোগে বান্দুরা ফিরছিলেন। পথে ঢাকা-বান্দুরা সড়কের কলাকোপা আমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকার সড়কে ঘুমিয়ে থাকা কুকুরের সাথে ধাক্কা লেগে মটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। মারাত্মক আহতাবস্থায় স্থানীয়রা তাকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। চিকিৎসক তাঁর অবস্থা অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরের দিকে শাহাদাৎ হোসেন মারা যান।
নবাবগঞ্জ উপজেলা ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিদের সংগঠন 'ফারিয়া'র কর্মকর্তা মশিউর রহমান ফারুক জানান, ফারিয়া সদস্য ছিলেন শাহাদাৎ হোসেন। তিনি ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিক্যালস এর নবাবগঞ্জের বান্দুরা এলাকায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাঁর মৃত্যুতে ফারিয়ার সকল সদস্য শোকাহত। তিনি জানান, রবিবার সকালে শাহাদাৎ হোসেনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ফারিয়ার পক্ষ থেকে মরহুমের পরিবারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। আজ সন্ধ্যায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস এর এরিয়া ম্যানেজার কাজী জাকির হোসেন জানান, সহকর্মী শাহাদাৎ হোসেন দুই বছর যাবত নবাবগঞ্জে আছেন। দুর্ঘটনার আগের দিন কোম্পানির বিশেষ প্রশিক্ষণে ঢাকায় ছিলেন। সেখানে শুক্রবার রাতে অবস্থানের পর শনিবার ভোরে মটর সাইকেলে বান্দুরায় ফিরছিলেন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে আমি তাঁর পাশে ছিলাম। শাহাদাৎ হোসেনের চিকিৎসায় কোম্পানির পক্ষ থেকে সকল পর্যায়ের সহযোগীতা করা হয়েছে। সে যেহেতু আমার সহকর্মী তাঁর পরিবারের জন্য আমাদের সমবেদনা থাকবে।
© এশিয়া বার্তা, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত