দোহার-নবাবগঞ্জ(ঢাকা) প্রতিনিধি.
ঢাকার নবাবগঞ্জে একই মাদ্রাসার ৫ শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেছে এক অভিভাবক। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. ওয়াসিম। সে যন্ত্রাইল গ্রামের হাজী মুকবুলের ছেলে। ঘটনার পর হতে ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার ও ভিকটিম পরিবার সূত্রে জানায়, মুসলিহুল উম্মাহ মাদানী মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ওয়াসিম মাঝ মাঝেই শিশু শিক্ষার্থীকে তাঁর শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতো। অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখে প্রথম শ্রেনীর এক শিশু মাদ্রাসায় যেতে চায়নি। এ বিষয়ে তাঁর মা বার বার জানতে চায়। পরে শিশুটি কান্না করে ওই শিক্ষকের এহেন কাজ সম্পর্কে তাঁর মাকে বলে। এরপর ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে একই গ্রামের আরো ৪জন এ বিষয়ে অভিযোগ করে। তাঁদেরকেও ওই শিক্ষক ধর্ষণ করেছে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ঘটনা টের পেয়ে ওই শিক্ষক গত ২০ অক্টোবর রাতে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রের মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাত ১২ টায় নবাবগঞ্জ থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে। মামলার এজাহারে তিনি ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো কয়েকজন শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।
মাদ্রাসাটির পাশের এক বাসিন্দা বলেন, ঘটনার পর হতে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক শিশু শিক্ষা বঞ্চিত হচ্ছে। কয়েকজন শিশু বলেন, একথা কাউকে না বলতে হুজুর নিষেধ করেছে। বললে সে মারবে ।
এঘটনায় নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, এক শিক্ষার্থীর মায়ের এজাহার পেয়ে শুক্রবার রাতে মামলা নেয়া হয়েছে। ওই মাদ্রাসা শিক্ষককে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। তবে একই প্রতিষ্ঠানের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা বিধায় পৃথক মামলা নেয়া হয়নি।