দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি:
ঢাকার দোহারে মধ্যযুগীয় কায়দায় সাজিদ (১০) নামের এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে নাজমুল হোসেন নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার নারিশা ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের জামিয়া এমদাদিয়া ইসলামাবাদ মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হোসেন।
এদিকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসার পর আবারও অসুস্থ হয়ে পরেছে সাজিদ এমনটা জানান তার মা সাথী আক্তার। তিনি বলেন,মাথায় বেশি আঘাত পাওয়ায় ঘটনার দিন থেকে বমি করে তার ছেলে সাজিদ। এছাড়া হাতে ও পায়ে ব্যাথা অনুভব করে। তিনদিন পার হলেও বমি না থামায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিতে বলেছেন এমনটা জানান সাথী আক্তার। আগামীকাল শুক্রবার সাজিদকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হবে এবং শীঘ্রই মামলা রুজু করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমুল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন।
জামিয়া এমদাদিয়া ইসলামাবাদ মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মাহাদী হাসান আল ফরিদী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোন ব্যাক্তির অপরাধের দায় প্রতিষ্ঠান নিবে না। সঠিক তদন্ত করে যদি শিক্ষক দোষী হয় তাহলে তার শাস্তি হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে সাজিদ পড়া দিতে না পারায় নাজেরা বিভাগের শিক্ষক নাজমুল হোসেন শিশু সাজিদকে প্রথমে চর থাপ্পড় দেয়। পরে রেহাল ছুড়ে মারে ও বেত দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এক পর্যায়ে শিশু সাজিদকে আছাড় মারলে সাজিদ অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে তার মাকে খবর দেয় মাদ্রাসায় শিক্ষক। তার মা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।