1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির সাগরাম মাঝির মৃত্যু দিবস পালন - এশিয়া বার্তা
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০
প্রধান খবর:
দোহারে শিক্ষার মান উন্নয়নে মত বিনিময় সভা দোহারে বিএনপি নেতা হারুন মাষ্টার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা,গ্রেফতার-১ শরীফুল রাজ ও তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত ‘ইনসাফ’ সিনেমায় দোহারের বিল্লাল মাহমুদ মানিকগঞ্জে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল দোহারে নয়াবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা নবাবগঞ্জে মাদকের অপব্যবহার ও প্রসার রোধে ব্যতিক্রমী সভা মাহমুদ আরশীন জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক এসোসিয়েশনের সদস্য নির্বাচিত ট্রাকচাপায় শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু: মানিকগঞ্জে শোকের ছায়া বিএনপি নেতার উদ্যোগ, ৪ যুগ পর রাস্তা পেল দোহার পৌরবাসী নবাবগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত,আহত-২

রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির সাগরাম মাঝির মৃত্যু দিবস পালন

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী জেলাপ্রতিনিধি:

আদিবাসী নেতা সাগরাম মাঝির ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি তাঁর মৃত্যুবাষির্কী পালন করে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে অত্র একাডেমি প্রাঙ্গনে সাগরাম মাঝির প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। করোনা ভাইরাস এর কারনে বড় ধরনের কোন অনুষ্ঠান তারা করতে পারেননি। তবে আগামীতে এদিন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচী পালন করা হবে বলে একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানান।
এসময়ে উপস্থিত আদিবাসী নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কেন্দুবুনা পাড়ায় ১৯০১ সালে জন্মগ্রহন করেন অবিংসবাদিত আদিবাসী নেতা ও ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিশিষ্ট আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক সাগরাম মাঝি। তাঁর পিতার নাম ছিল রাগদা মাঝি ওরফে রাগদা হাঁসদা। আদিবাসী সমাজে শিক্ষার কোন গুরুত্ব না থাকলেও তিনি ভর্তি হন চব্বিশনগর নামক মাদ্রাসায়। তিনি প্রায় ৭ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে প্রতিদিন মাদ্রাসায় যেতেন। তিনি সেই মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন এবং আরবী শিক্ষায় বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেন। এরপর তিনি পড়াশোনার সুযোগ পাননি।

তিনি নিজ গ্রাম থেকে প্রায় ৩কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম দেলশাদপুর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। তিনি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে এলাকায় ব্যাপকভাবে চেষ্ঠা চালিয়েছিলেন। একজন আদিবাসী তদুপরি অনগ্রসর জাতির মানুষ সাগরাম মাঝির শিক্ষার সংগ্রাম সচেতন মানুষকে অনুপ্রানিত করেছিল। তিনি আদিবাসীদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে আদিবাসী গ্রামে গ্রামে সভা সমাবেশ করে সচেতনতা সৃষ্টির প্রানপন চেষ্ঠা করেন। কয়েক বছর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করার পর তিনি গথবাঁধা জীবনকে মন থেকে মেনে নিতে না পেরে শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন এবং অল্প দিনের মধ্যেই তিনি সমাজ সেবক হিসেবে যথেষ্ঠ পরিচিতি ও খ্যাতি অর্জন করেন। ফলে তাঁর নাম বরেন্দ্র অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

তারা আরও বলেন, সামরাম মাঝি ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আইন পরিষদের সাধারন নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এম.এল.এ নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জয়লাভের পর তার পরিচিতি এলাকা ছাড়িয়ে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বাংলার ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ও প্রথম আদিবাসী নেতা যিনি পার্লামেন্টর সদস্য হিসেবে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনিই একমাত্র নির্বাচিত পার্লামেন্টারিয়ান, যিনি তৎকালীন বৃহত্তর রাজশাহী তথা উত্তরা লের বরেন্দ্র ভুমি থেকে আদিবাসীদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি ১৯৬২ সালে ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। তিনি ১৯৭০ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে আবারও অংশগ্রহন করেন। নির্বাচনে তিনি হেরে যান। তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারনে তথা স্বেরাচারী পাক অপশাসনের কবল থেকে মুক্তি লাভের জন্য এবং একটি স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য সে নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের পতাকাতলে সমবেত হয়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল ভাবে জয়যুক্ত করে। সাগরাম মাঝি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মোটেও ভেঙ্গে পড়েননি।

তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্থানীয় সরকার কাঠামোর অধীনে গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন এবং ১৯৭৪ সালের নির্বাচনে প্রচুর ভোটে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। কারন একদিকে বয়সের ভার অন্যদিকে যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শারীরিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়েছিলেন। শেষে ১৯৭৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তিনি টিবি হাসপাতালেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

অত্র একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা বেনজামিন টুডুর সভাপতিত্বে পুস্পস্তবক অর্পন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির নির্বাহী সদস্য যোগেন্দ্র নাথ সরেন, চিত্তরঞ্জন সরদার, সংগীত প্রশিক্ষক মানুয়েল সরেন, কবীর আহম্মেদ বিন্দু, নাটক প্রশিক্ষক লুবনা সিদ্দিকা কবিতা ও সহকারী গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ্জাহানসহ অত্র একাডেমির অন্যান্য কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓