1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
তানোরে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে গরু নিয়ে বিপাকে প্রান্তিক কৃষকরা! - এশিয়া বার্তা
শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

তানোরে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে গরু নিয়ে বিপাকে প্রান্তিক কৃষকরা!

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী প্রতিনিধি

তানোরে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত খড়ের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। গো-খাদ্য খড়ের সংকট দেখা দেয়ায় ও দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা বিল থেকে দল (স্থানীয় ভাষায়) কেটে গরুকে খাওয়াতে শুরু করেছেন। দফায় দফায় বন্যার কারনে খড়ের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

(৫ই অক্টোবর) সোমবার বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েক জনের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ১ কাউন খড়ের দাম প্রায় ১০হাজার টাকা থেকে ১১হাজার টাকা। সে হিসেবে প্রতি পিচ খড়ের দাম পড়ছে প্রায় ৮টাকা। যা গত ২মাস আগের চেয়ে প্রায় আড়াইগুন বেশী। তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় থেকে পাইকাররা খড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন রাজশাহী নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

কৃষকরা বলছেন, ৪পিচে ১গন্ডা, ২০গন্ডায় (৮০পিচে) ১পণ, ১৬ পণে (১২৮০ পিচে) ১ কাউন, যার বর্তমান বাজার মুল্য ১০হাজার টাকা থেকে ১১ হাজার টাকা। সেই হিসেবে ১২৮০পিচ খড়ের প্রতিটি’র দাম ৭টাকা ৮১পয়সা। তবে, দুরত্বের উপর দাম কম বেশী হয়ে থাকে। ২মাস আগেও ওই খড় বিক্রি হয়েছে ৩হাজার টাকা থেকে ৪হাজার টাকা কাউন। ২ মাসের ব্যবধানে খড়ের দাম বেড়েছে প্রায় আড়াইগুন বেশী।

সরেজমিন ঘুরে বাড়িতে (গরু পুষা) প্রান্তিক এসব কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রোপা আমন ধানে এখন পুরো মাঠ জুড়েই সবুজের সমারহ। সেই সাথে পানিতে বিল ভরে থাকায় গরুকে খাওয়ানোর মত কোথাও কোন জায়গা ফাঁকা নেই, ফলে গরু বাড়ির পাইরে নেয়া যাচ্ছেনা, বাধ্য হয়ে খড় কিনে গরুকে খাওয়াতে হচ্ছে, কিন্তুু খড়ের দাম দিন দিন বাড়তে থাকায় বাধ্য হয়েই তারা বন্যার পানিতে ভেসে আসা (দল) বিল কুমারী বিলের তালন্দ হরিদেবপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা কেটে নিয়ে গরুকে খাওয়াচ্ছেন।

তানোর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা বলছেন, গত ১ মাস আগেও ধানের জমির আইলে গরু নিয়ে কৃষকরা ঘাস খাওয়াইছেন, কিন্তুু বর্তমানে রোপা আমন ধান থোড় হওয়ায় ধানের জমির আইলে গরু চরানো বন্ধ ঘোষনা করায় প্রান্তিক এসব কৃষকরা গরু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। ফলে, বাধ্য হয়েই তারা বিল থেকে দল কেটে নিয়ে গরুকে খাওয়াচ্ছেন। তারা বলছেন, খড়ের সাথে এই দল কেটে মিশিয়ে দিলে গরু খাচ্ছে তাতে তাদের খচর কম হচ্ছে।

তানোর উপজেলায় তেমন ভাবে গরুর খামার গড়ে না উঠলেও ঐতিয্য হিসেবে গ্রামের কৃষকদের প্রায় সকলেই বাড়িতে গরু পুষে থাকেন। সেই সাথে প্রান্তিক অনেক কৃষক ২টা থেকে ৩টা করে গরু কিনে কিছুদিন পর তা আবার বিক্রি করে দেন। তানোর উপজেলার প্রায় প্রতিটি এলাকার প্রান্তিক কৃষকদের প্রায় সকলেই গরু কেনা বেচা করে লাভের মুখ দেখছেন। ফলে, প্রান্তিক এমন অনেক কৃষকই গরু লালন পালনের দিকে ঝুকে পড়েছেন। কিন্তুু গো-খাদ্যের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব প্রান্তিক কৃষকরা বর্তমানে গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি ফলে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓