1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
বগুড়া আদমদিঘী বাজারে ও নওগাঁ পাইকারী বাজারে আলুর লাগামহীন মূল্যে -বিপাকে ক্রেতারা - এশিয়া বার্তা
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

বগুড়া আদমদিঘী বাজারে ও নওগাঁ পাইকারী বাজারে আলুর লাগামহীন মূল্যে -বিপাকে ক্রেতারা

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০২০
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

হুমায়ুন আহমেদ
ষ্টাফ রিপোটার, আদমদিঘী,নওগাঁ।
নওগাঁর বিভিন্ন বাজার গুলিতে আলুর লাগামহীন মূল্য এবং আলুর মূল্য নির্ধারণে সরকারি নিয়ম মানছে না বলে অভিযোগ করেন- সাধারণ ক্রেতারা। ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এই দরে আলু বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সম্প্রতি ৬৪ জেলার প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি, পাশাপাশি ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে বিক্রির বিষয়টিকে অযৌক্তিক বলেও মন্তব্য করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের চিঠিতে আরও বলা হয়, একজন চাষীর প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা। এমতাবস্থায় হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৩ টাকা, পাইকারি/আড়তের এর মূল্য ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাজারে দেখা যাচ্ছে যে, প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা অযৌক্তিক ও কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা মূল্যে খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।এই মূল্যে কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি বিক্রেতা এবং ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিন পক্ষই যাতে আলু বিক্রয় করেন, এজন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ডিসিদের অনুরোধ জানানো হলেও নওগাঁ জেলা সদর বাজার ও আদমদিঘী উপজেলা বাজার, আবাদপুকুর বাজার, মুরাইল বাজার সহ বিভিন্ন বাজার। নওগাঁর বিভিন্ন লোকাল বাজারে, বাঙ্গাবাড়িয়া, ডিগ্রি কলেজ, বালুডাঙ্গা সান্তাহার সহ এদিকে বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া মুরাইল আদমদিঘী সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা ৪৫ – ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছে,
অধিকাংশ দোকানে নেই কোন মুল্য তালিকা। কিছু দোকানে মুল্য তালিকা থাকলেও আলুর মুল্য তালিকার ঘর ফাঁকা। নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বেশী মুল্যে আলু বিক্রির কারন জানতে চাইলে দোকানিরা বলেন, আমরা কিনতে না পারলে বিক্রি করব কিভাবে। আমাদের আড়তদারদের কাছ থেকে ৪১-৪২ টাকা কেজি দরে কিনতে হয় সেক্ষেত্রে আমরা বিক্রি করব কত টাকা কেজি দরে। কয়েকটি আড়তে খোঁজ নিয়ে মেলে ঘটনার সত্যতা। অড়তে আলুর মুল্য তালিকায় দেখা যায় কেজি প্রতি দর ৩৯-৪১ টাকা দেওয়া আছে। এ বিষয়ে নওগাঁ উকিলপাড়া সুইচগেট আবুল কালাম আজাদ নামে এক ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন হটাৎ করে আলুর মুল্য বৃদ্ধির পেছনে একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জড়িত,গত বছর ও ঠিক একই সময় এইরকম অবস্থা হয়েছিল,আলু পিয়াজ কাচামরিছ,বিভিন্ন কাচা তরকারীর যে দাম আমরা খাবো কিভাবে, করোনার কারনে আমাদের কোন আয় রোজগার নাই ঠিকমত সংসার চলতে যে কষ্ট হচ্ছে এর মধ্যে সব কিছুর দাম এতো বৃদ্ধি পাওয়াতে আমাদের খাওয়াই দুস্কর হয়ে পরছে, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুদৃষ্টি কামনা করছি, ওনি জেনো সব কিছুর দিকে একটু নজর দেন। ঐ দিকে বগুড়া আদমদিঘী উপজেলার আব্দুল মজিদ,আবুল হাসেম,মান্নান সহ কয়েকজন সাধারন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, হটাৎ করে আলুর মুল্য বৃদ্ধির পেছনে একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী জড়িত, সঠিক মনিটরিং এর অভাবে এ সিন্ডিকেট গুলো আলু, পিয়াজ, কাচামরিচ, কাচা তরকারী সহ যেমন খুশী তেমন করে দাম নির্ধারণ করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। যার ফল ভোগ করছি আমরা সাধারন ক্রেতারা। এ সময় তারা আলুর বাজার মুল্য স্বাভাবিক রাখতে যথাযথ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সঠিক মনিটরিং করে অসাধু সিন্ডিকেট গুলোকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓