1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
এদের কে আইনের আওয়াতায় আনা ইউক। - এশিয়া বার্তা
বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

এদের কে আইনের আওয়াতায় আনা ইউক।

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২০
  • ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি হেলাল আহমেদ চৌধুরী। দৈনিক বাংলাদেশ ৭১ সংবাদ।
গ্রাম্য রাজনিতির অপর নাম ভিলেজ পলিটিক্স। এর নেপথ্যে থাকে সমাজের কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক, কিছু মিচকা শয়তান, মুনাফিক।
যারা ব্যালেন্স রক্ষা করে চলে এবং তিলকে তাল বানিয়ে উভয়দিক থেকে ফাঁয়দা হাসিল করতে চায় > দেখতে হলুদ প্রকৃতির-সব তরকারির সাথে সহজে মিশতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে তারা সফলও। অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে এরা ভীষণ উস্তাদ..!!
কোন লোক বিপদে পড়লে সকালে পরামর্শ দেয়ার নামে চলে চা নাস্তা সিগারেট আদায় আর বিকেলে ঝামেলা মিটিয়ে দেয়ার নাম করে হোটেলের পোড়া মুরগী+নান রুটি সাথে সিন্ডিকেট কে খুশি করতে দিতে হয় সিগারেটের প্যাকেট…..!!
আর দূর্বল ও সবলের মধ্যে কোন ঝামেলা হলে প্রথমে ই পরার্মশ দিয়ে দূর্বল কে থানায় পাঠিয়ে দিয়ে একটি এজাহার দাখিল করানো হয়,
সিন্ডিকেটের পরিচিত কোন এসআই কে ফোন করে বলা হয় স্যার গ্রামে একটু আইসা ঘুইরা যান না-খরচ পাতি দিয়ে দেবো সেটা চিন্তা কইরেন না।
এর পর সপ্তাহ পনের দিন চলে সিন্ডিকেটের সকাল বিকাল খাওয়া দাওয়া তাও আবার দু পক্ষ থেকে ই।
অতঃপর কয়েক মাস সিন্ডিকেটের পিছনে ঘুরার পর যখন সবল ব্যক্তি ক্লান্ত তখন বলা হয় আমরা বিচার করে দিবো যদি মানো তাহলে বলো আর না হয় আমরা নাই, তখন রীতিমতো বাধ্য হয়ে তিনি স্বীকার করেন আচ্ছা ঠিক আছে আমি মানবো অতঃপর দূর্বলকে ডেকে বলা হয় আমরা পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করবো তুই পাবি বিশ হাজার, দূর্বল তো দূর্বলই সে আবার কি বলবে? তাকে ও ভয় দেখানো হয় -না হয় অপর পক্ষও মামলা করবে। তখন তুই থাকবি দৌড়ের উপর।

আচ্ছা ঠিক আছে বিচার অমুক দিন-বিচারে বেশি মানুষ ডাকার দরকার নাই আমরা (সিন্ডিকেট) ঝামেলা ভেঙ্গে দিবো।
ঠিক ঐ তারিখে যদি গ্রামে এমন কোন লোকের আগমন ঘটে যে সিন্ডিকেট তাদের কার্য হাসিলে ব্যর্থ হবে তখন তড়িগড়ি করে বলা হয় আজকে বিচার হবে না আমাদের জরুরী কাজ আছে।
এদের প্রধান টার্গেট থাকে এমন পরিবার/ বংশ গুলো যারা সমাজে অতীব দূর্বল প্রকৃতির বা যাদের শক্ত কোন লোক নেই।
গ্রামে প্রতিহিংসা একটু বেশীই। ধনীর সম্পদ কিভাবে খোয়ানো যায়, সম্মানীকে কিভাবে হেনেস্তা করা যায়, শিক্ষিতকে কিভাবে কোণঠেসে রাখা যায় এটাই ভিলেজ পলিটিশিয়ানদের আসল উদ্দেশ্য।
সমাজের ভদ্রলোকেরা উল্টো ফাঁদে পড়ার ভয়ে এর প্রতিবাদ করেননা। কেননা গ্রামে আইনের চেয়ে লাঠি-সোটার কথা বেশি চলে। এই সিন্ডিকেট সব সময় সরকারী দলের ছত্রছায়ায় থাকতে পছন্দ করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের তৈল, মারা আর পা চাটা তাদের পেশা হয়ে যায়, তখন সমাজের সৎ, ত্যাগী, মেধাবী, শিক্ষিত, যোগ্যরা হয় বঞ্চিত ও অবহেলিত।
আর সমাজ চলে যায় অসৎ, অযোগ্য, অদক্ষ, হাইব্রিড, সুবিধাবাদী, বর্ণচোরা, বাটপার ও ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারীদের হাতে।
যার ফলে সব সময় সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করে, এর কবল থেকে সমাজকে রক্ষা করতে সু-শিক্ষিতদের ও সুস্থ্য বিবেক সম্পন্য লোক দের এগিয়ে আসতে হবে। এদের কে আইনের আওয়াতায় আন্তে হবে

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓