1. info@asiabarta.news : এশিয়া বার্তা :
"১৮ বছর পরে নিজের সন্তানকে ফিরে পেলেন বাবা" - এশিয়া বার্তা
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা:
জরুরী নিয়োগ চলছে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ প্রতিনিধি,নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন: বার্তা বিভাগ-০১৭১৬৫৫৯১৯০

“১৮ বছর পরে নিজের সন্তানকে ফিরে পেলেন বাবা”

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

এস.এম নুরনবী,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

লাকী খাতুন, কুড়িগ্রামের পাঁচগাছী ইউনিয়নের ছত্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। ছোটবেলাতেই তার মা মোসা: ভেনোয়ারা বেগম মারা যান। অতি কষ্টে কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তার কৃষক বাবা। কষ্টের সংসারে ৭ বছর বয়সে তাকে রংপুরের এক বাসায় কাজে দিয়েছিলো তার মামা। উক্ত বাসার গৃহকর্মী তাকে প্রায়ই নির্যাতন করায় কিছুদিন কাজ করার পর ঐ বাসা থেকে পলায়ন করে লাকী। দীর্ঘ ১৮ বছর অতি আদরের লাকী খাতুনের আর সন্ধান পাননি তার কৃষক বাবা। অনেক চড়াই উতড়াই পার করে গত ২৮ নভেম্বর ২০২০ শনিবার পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকায় ডিউটিরত সদর পুলিশ ফাঁড়ির টহল পুলিশ মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের সহায়তায় তার নাম ঠিকানা যাচাই করে গ্রামের ঠিকানায় পাছগাছিয়ার ছত্রাপুর গ্রামের কুড়িগ্রাম জেলায় খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা ঐ এলাকার চৌকিদারসহ গতকাল ৩০ নভেম্বর ২০২০ তারিখে পটুয়াখালী থানায় ছুটে আসেন।

নাম,ঠিকানা ও প্রকৃত অভিভাবকত্ব যাচাই করে পটুয়াখালী থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে লাকী খাতুনকে তার বাবার হাতে তুলে দেয়া হয়।দীর্ঘ ১৮ বছর পরে সন্তানকে ফিরে পেয়ে আবেগাপ্লুত কন্ঠে বাবা বাছুরউদ্দিন বলেন,” ৭ বছর বয়সে লাকী খাতুন নিঁখোজ হয়। অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে খুঁজে না পেয়ে মেয়েকে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম।দীর্ঘ ১৮ বছর পরে পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে খুঁজে পেয়ে তার বাবা বাছুরউদ্দিন ও মেয়ে লাকী খাতুন আনন্দে আত্নহারা এবং জেলা পুলিশ পটুয়াখালীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান” ।

পটুয়াখালী জেলা পুলিশ জানান,
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে থানায় স্থাপিত নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে লাকী খাতুনকে দীর্ঘ ১৮ বছর পর তার বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে জেলা পুলিশ পটুয়াখালীর সদস্যগণ ও অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Shares
আরো সংবাদ পড়ুন

আর্কাইভ | পুরাতন সংবাদ পড়ুন

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: 𝐘𝐄𝐋𝐋𝐎𝐖 𝐇𝐎𝐒𝐓